প্রতীকী ছবি।
গতিপথ বদল করল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। মঙ্গলবার মৌসম ভবন জানিয়েছিল, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রেই থাকবে। স্থলভাগে প্রবেশ করবে না। কিন্তু রাতেই সেই পূর্বাভাস বদল করা হল। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অশনি ডাঙা ছোঁবে। অন্ধ্র উপকূলের কাঁকিনাড়ার কাছে সেটি স্থলে প্রবেশ করেই কিছুক্ষণ থেকে আবার ফিরে যাবে সমুদ্রে।
বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল জুড়ে এই মর্মে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ওড়া অধিকাংশ বিমান বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হয়ছে প্রায় ৪০টি ট্রেন। এমনকি পূর্বনির্ধারিত বোর্ডের পরীক্ষাও জরুরি পরিস্থিতিতে পিছিয়ে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তবে মৌসম ভবন কিছুটা আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যখন স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন সেটির তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে বলে বড় ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার সকালেই অন্ধ্র উপকূলে ঢোকার কথা ‘অশনি’র। তারপর সেটি মছলিপুরম, নরসাপুর, ইয়ানম, কাঁকিনাড়া, টুনি হয়ে ফের সমুদ্রে ফিরবে। আবহাওয়া ব্যুরোর এক দায়িত্ব প্রাপ্ত অধিকর্তা জানিয়েছেন, তার আগেই রাতেই তীব্র ঘূর্ণিঝড থেকে ‘অশনি’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় ঝড়ের কেন্দ্রের ঘূর্ণন গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটারের মধ্যে।
আবহাওয়া ব্যুরোর ওই অধিকর্তার নাম অনন্ত কুমার দাস। তিনি বলেন, ‘‘উপকূলের দিকে আপাতত ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এগোচ্ছে অশনি। তবে যত দ্রুত তার শক্তি ক্ষয় হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।’’ অনন্তের ব্যাখ্যা, ‘‘গত কয়েক ঘণ্টায় ঝড়ের আকৃতি ছোট হয়েছে তাতেই কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছে সেটি।’’
বুধবার সকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘অশনি’ প্রভাবে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।