ত্রিপুরায় যৌথ ভাবে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রাখা ১৩টি আসনেও প্রার্থী দিয়ে দিল সিপিএম। বিজেপিকে রুখতে দু’দল আসন সমঝোতা করে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বামেরা ১৩টি আসন ছাড়লেও কংগ্রেস এর আগে ১৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। আলাপ-আলোচনা চললেও বাড়তি চার আসনের দাবি থেকে তারা এখনও সরেনি। এমতাবস্থায় কংগ্রেসের উপরে চাপ বাড়াতে ছেড়ে রাখা ওই ১৩টি আসনেও প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট।
কংগ্রেস ও সিপিএম, দু’পক্ষের নেতারাই অবশ্য বলছেন, সমঝোতার পথ এখনও খোলা আছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। তার মধ্যে যেমন রফা-সূত্রে পৌঁছনো যাবে, সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এখন কলকাতায়। সূত্রের খবর, আগরতলা থেকে সোমবার ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী তাঁকে জানান, পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের জন্য ছাড়া ১৩ আসনে তাঁরা প্রার্থী দিচ্ছেন। ইয়েচুরি তাতে সম্মতি দেন। সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বের আশা, দর-কষাকষি করেই রফা হবে।
জিতেন্দ্র এ দিন বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসকে ১৩টি আসন দেওয়ার পরে তারা ১৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে। ভোটারদের মধ্যে এই নিয়ে ভুল বার্তা গিয়েছে। তার জন্য কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট থেকে আলদা আলাদা বিবৃতি দেওয়া হবে। অতিরিক্ত চারটি আসনে কংগ্রেস মনোয়ন প্রত্যাহার করলে একই ভাবে বামফ্রন্ট কংগ্রেসের ১৩টি আসন থেকে প্রার্থী-পদ তুলে নেবে।’’ এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক অজয় কুমারের সঙ্গে কথায় বোঝাপড়া নিয়ে ‘ইতিবাচক’ সঙ্কেত মিলেছে বলেই সিপিএম সূত্রের দাবি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহেরও বক্তব্য, ‘‘আসন নিয়ে জটের সমাধান হয়ে যাবে। এই নিয়ে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক আলোচনা চালাচ্ছেন।’’
আসন নিয়ে টানাপড়েন চললেও দু’দলের নিচু তলার সমর্থকদের মধ্যে সর্বত্র তার বিশেষ প্রভাব পড়েনি। চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রে যেমন কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা এ দিন যৌথ ভাবেই প্রচার করেছেন। আগরতলার কয়েকটি এলাকাতেও যৌথ প্রচার-সজ্জা হয়েছে।