আশির দশকের গোড়ায় এর্নাকুলামের কলেজে ছাত্র নেতা থাকার সময়ে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছিল তাঁকে। অভিযোগ ছিল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন কেএসইউ (আই)-এর দিকে। মৃত ভেবে তাঁকে ফেলে গিয়েছিল হামলাকারীরা। দীর্ঘ চিকিৎসায় আবার কাজে ফিরেছিলেন সাইমন ব্রিটো। যদিও পক্ষাঘাতের জন্য ঘুরতে হত হুইল চেয়ারে। ত্রিশূরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর। সিপিএম নেতা ব্রিটোকে (৬৪) সাহস ও প্রত্যয়ের প্রতীক হিসেবেই দেখতেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে লেখালেখির মাধ্যমেই নানা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন, কেরল বিধানসভার মনোনীত সদস্যও হয়েছিলেন। ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরিরা। ব্রিটোর ‘প্রত্যয়ে’র কথা উল্লেখ করেই ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘ওঁর চলে যাওয়া বাম রাজনীতির জন্য তো বটেই, আমার কাছেও ব্যক্তিগত ক্ষতি।’’ শোকপ্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, দলের রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ারি বালকৃষ্ণন-সহ অনেক নেতাই।