কেরলের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে বুঝিয়ে রাজ্যসভায় জিএসটি বিলে সিপিএমের নিঃশর্ত সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও অরুণ জেটলি। কিন্তু কংগ্রেসের সুরে আজ সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বও জানিয়ে দিলেন, তাঁদের শর্ত পূরণ হলেই সিপিএম রাজ্যসভায় জিএসটি বিলে সমর্থন জানাবে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেন। দু’জনেই তাঁকে বোঝান, কেরলের মতো রাজ্যে পণ্য উৎপাদনের থেকে কেনা হয় বেশি। তাই জিএসটি চালু হলে কেরল লাভবান হবে, রাজ্যের আয় বাড়ে। সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে পিনারাই যেন এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে বোঝান।
কিন্তু এই আশায় আজ কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর বক্তব্য, জিএসটি-তে দু’টি বিষয়ে সিপিএমের আপত্তি রয়েছে। এক, ভ্যাট চালু হওয়ার পর একমাত্র বিক্রয় কর ছাড়া রাজ্য সরকারের আর কোনও কর বসানোর ক্ষমতা নেই। জিএসটি চালু হলে তা-ও চলে যাবে। সে ক্ষেত্রে সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার মোকাবিলার জন্য অর্থ সংস্থান করতেও রাজ্যকে কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে। কেন্দ্রকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। দুই, উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতির মোকাবিলায় পাকাপাকি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
ইয়েচুরি বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই জিএসটি বিষয়ে ইতিবাচক। অসীম দাশগুপ্ত অর্থমন্ত্রীদের কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএসটি-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সে সময় মোদীর গুজরাতই এর বিরোধিতা করত। আমাদের ধারণা, মোদী সরকার নিজেই জিএসটি চায় না। শিল্পমহলের রোষ থেকে বাঁচতে বিরোধীদের উপর দায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’’