ছবি: সংগৃহীত।
স্বাধীনতা দিবসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের ভাষণ সম্প্রচারে বাধার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক বাধল। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ রেকর্ড করার পরেও দূরদর্শন ও আকাশবাণীতে তা সম্প্রচারে কেন্দ্রীয় সরকার বাধা দিয়েছে বলে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরো।
সিপিএম ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সূত্রের দাবি, প্রথা মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ আগে রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁকে জানানো হয়, ওই ভাষণ সম্প্রচার করা যাবে না। তিনি চাইলে তাঁর বক্তব্য ‘অদলবদল’ করতে পারেন। যা করতে মুখ্যমন্ত্রী রাজি হননি। সিপিএমের পলিটব্যুরো বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে, এক জন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের রাজ্যের মানুষকে কী বলবেন, সেই অধিকারেও হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্রের সরকার! এই ঘটনা জরুরি অবস্থার দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশিই সিপিএমের প্রশ্ন, বিধি অনুয়ায়ী প্রসার ভারতী স্বশাসিত সংস্থা। তারা কোথায় কী দেখাতে পারবে বা পারবে না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এ ভাবে হস্তক্ষেপ করে কী ভাবে? প্রসার ভারতীকে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবিও ফের তুলেছে তারা। তবে, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কোনও বিবৃতি এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
ভালবাসার জোরেই কাশ্মীরিদের মন জিততে হবে: নরেন্দ্র মোদী
ইন্টারনেট থেকে অবিলম্বে সরাতে হবে ‘ব্লু হোয়েল’, সরকারি ফরমান
তৃণমূল এখন মোদী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ‘অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ’-এর বিরুদ্ধে নিয়মিত সরব। কিন্তু, ত্রিপুরার ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেউ মুখ খুলতে চাননি। দলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘আমরা গোটাটাই জানি। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে এ নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না।’’