প্রতীকী ছবি।
উপত্যকার সাংবাদিক কারমান ইউসুফের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিট নিয়ে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তিনি কী খবর করেছেন বা করেননি, সে কথা উল্লেখ করে তাঁর পেশা নিয়েই সন্দেহ তুলেছে এনআইএ। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, কোন খবর করলে কাশ্মীরে ‘সাংবাদিক’ হওয়া যায়, সেটাও কি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাই ঠিক করে দেবে!
সেপ্টেম্বরে পুলওয়ামার বাসিন্দা, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক কামরানকে ডেকে পাঠায় স্থানীয় থানা। সেখানেই তাঁকে হেফাজতে নেয় এনআইএ। বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজস এবং সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রয়েছে পাথর ছোড়ার অভিযোগও।
এই মামলায় কামরানের জামিনের আর্জির শুনানির সময়েই প্রকাশ্যে এসেছে এনআইএ-র চার্জশিট। এনআইএ-র বক্তব্য, কামরান কোনও সরকারি দফতরের কাজ, হাসপাতালের উদ্বোধন, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ, শাসক দলের বক্তব্য নিয়ে খবর করেছেন এমন প্রমাণ মেলেনি। তেমন কোনও খবরের ফুটেজ তাঁর ল্যাপটপ বা মোবাইলে মেলেনি। সাংবাদিক হলে এ সব খবরও তিনি করতেন। এনআইএ-র অভিযোগ, কামরান সাংবাদিক হলে এ সব খবর করাই তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক ছিল। তাদের অভিযোগ, তিনি কেবল দেশ-বিরোধী কাজকর্মের ফুটেজ তুলতেন। পরে সেই ফুটেজ বেচে টাকা রোজগার করতেন। যা শুনে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্ন, কামরানকে যদি শুধু উপত্যকায় বিক্ষোভের খবরই করতে বলা হয়, তবে তাঁকে তো সেটাই করতে হবে। সরকারের কাজ নিয়েই খবর করতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা আছে নাকি!