গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
প্রধান শত্রু বিজেপি-ই। আগ্রাসী গেরুয়া রাজনীতি মোকাবিলায় নিজস্ব সত্তা বজায় রেখেই ‘বৃহত্তর ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক’ জোট চায় সিপিএম। দলের ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক খসড়ায় এ কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি, কেরলে এলডিএফ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের উপর ‘ফ্যাসিবাদী’ আক্রমণের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালানোর কথা রয়েছে সিপিএমের আসন্ন পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক খসড়া প্রস্তাবে।
খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাবে কোথাও কংগ্রেসের নাম আলাদা করে উল্লেখ করা না হলেও ‘ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক’ শক্তির বৃহত্তর জোটের আওতায় কংগ্রেসও থাকছে বলেই অভিমত বাম রাজনীতির সঙঅগে ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ, সিপিএম বরাবরই কংগ্রেসকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক’ শক্তি বলে মনে করে এসেছে। ফলে আলাদা করে খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাবে উল্লেখ না থাকলেও রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্ভবত কংগ্রেস নিয়ে সিপিএমের লাইনে কোনও বদল হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ থেকে ১০ এপ্রিল কেরলের কান্নুরে সিপিএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ক্ষমতা থেকে বিজেপি-কে হটাতে কংগ্রেসের মতো জাতীয় দলের সঙ্গে জোট করতে সিপিএমের যে আপত্তি নেই, তা একান্ত আলোচনায় দলের বহু নেতাই একাধিক বার মেনে নিয়েছেন। দেশের সামনে সাম্প্রদায়িকতাই যে সবচেয়ে বড় বিপদ, তা-ও দলের শীর্ষনেতারা একাধিক বার উল্লেখ করেছেন।
ভোটের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বিজেপি-বিরোধী ভোট একত্রিত করতে রাজনৈতিক নীতির সঙ্গে আপস না করে উপযুক্ত রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করতে হবে। সংসদে ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে আন্দোলনে অংশ নেবে সিপিএম।
খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, শ্রেণিসংগ্রাম ও গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দলের স্বাধীন সত্তাকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আরও শক্তিশালী করতে হবে। স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে যোগ দিতে হবে ও তাদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। বলা হয়েছে, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দল প্রথম সারিতে থাকবে। হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলায় ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তি, সচেতন নাগরিক, সংগঠন এবং সামাজিক আন্দোলনকারীদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি, কেরলের এলডিএফ সরকার রক্ষায় এবং পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় পার্টি কর্মীদের উপর ‘ফ্যাসিবাদী’ আক্রমণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালাতে হবে।