ফাইল চিত্র
দেশের বয়স্ক জনসংখ্যার কমপক্ষে ৭৩ শতাংশ লকডাউনে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এজওয়েল ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫ হাজার প্রবীণ ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। উত্তরদাতাদের মধ্যে ৮২ শতাংশ বলেছেন যে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি তাঁদের জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
উত্তরদাতারা জানাচ্ছেন, লকডাউনের সময় ও এর পরে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। ৫ হাজারের মধ্যে ৬১ শতাংশ দাবি করেছেন, পরিবারে বয়স্কদের নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার জন্য পারস্পারিক সম্পর্কই প্রধান কারণ। সমীক্ষায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে এই প্রবীণদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ অবহেলার শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ৫৮ শতাংশ বলেছেন যে তাঁরা পরিবার এবং সমাজে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি তৃতীয় প্রবীণ ব্যক্তি (৩৫.১ শতাংশ) বৃদ্ধ বয়সে গার্হস্থ্য হিংসার মুখোমুখি হন।
এজওয়েল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিমাংশু রথ বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস অতিমারিতে বয়স্ক ব্যক্তিরা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। প্রবীণদের নির্যাতনের ক্রমবর্ধমান ঘটনা সম্পর্কে সমগ্র সম্প্রদায়কে সচেতন করার জরুরি প্রয়োজন। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার হলে কী কী ধরনের সাহায্য পাওয়া যায়, আইনি বিধান সম্পর্কে শিক্ষিত করা দরকার বয়স্ক ব্যক্তিদের।’’
প্রতিবেদনে প্রকাশ, বেশিরভাগ বয়স্কদের পরিবারের যত্নের উপর নির্ভর করতে হয়, যা তাঁদের দুর্বল করে তোলে। তাঁদের দুর্ব্যবহার, নির্যাতন ও হয়রানি মূলত করা হয় নিজের পরিবারেই। বয়স্কদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহিলাদের। আর এর কারণ হল আর্থিক অবস্থা, অন্যের উপর নির্ভরতা ও পুরুষের তুলনায় দীর্ঘ জীবন।