Covid 19

মৃত্যু ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই, মোদীর টিকা-আশ্বাস

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, তিনটির মধ্যে দু’টি প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে ভারতে। সেগুলি হল ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ও জাইডাস ক্যাডিলার ‘জাইকড ডি’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ০৪:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি

যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে দেশবাসীর কাছে করোনা প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা সবুজ সংকেত দিলেই বিপুল সংখ্যায় প্রতিষেধক উৎপাদন শুরু হবে বলে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে জাতিকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণের দাপট কমার লক্ষণ নেই। করোনার প্রকোপে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই সংখ্যা ৪৯ হাজার ৯৮০। যদিও কেন্দ্রের দাবি, দেশে কোভিড-১৯ রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার আজ ১.৯৩।

Advertisement

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে অনুযায়ী, দেশে করোনার কারণে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারের চেয়ে মাত্র ২০ কম। মনে রাখা দরকার, আজ কেন্দ্রীয় সরকার করোনায় মৃত, আক্রান্ত ও সুস্থের যে হিসেব প্রকাশ করেছে তা রবিবার সকাল ৮টা থেকে তার আগের ২৪ ঘণ্টার। অর্থাৎ রবিবার যে তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশ করেছে তা শনিবারের হিসেব। অতএব রবিবার দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ধরলে তা ৫০ হাজারের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতে রবিবারই মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পার হয়েছে। কেন্দ্র অবশ্য এতে তেমন উদ্বিগ্ন নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পার হয়েছিল ২৩ দিনে। ব্রাজিলে তা হয়েছিল ৯৫ দিন এবং মেক্সিকোয় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারের গণ্ডি টপকে ছিল ১৪১ দিনে। আর ভারতে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁতে সময় নিল ১৫৬ দিন।’’ স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, গত ১৮ জুন দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ছিল ৩.৩। বর্তমানে তা ১.৯৩-এ এসে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশে করোনা-আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার হারও ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে তা ৭২ শতাংশের কাছাকাছি।

অনেকেই মনে করেছেন, করোনায় মৃতের হার নিম্নমুখী ও সুস্থতার হার ঊর্ধ্বমুখী দেখিয়ে কেন্দ্র বোঝাতে চাইছে দেশে কোভিড পরিস্থিতি মোটের উপর নিয়ন্ত্রণে। গত কাল স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দেশবাসীকে বলতে চাই, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে তিনটি প্রতিষেধক পরীক্ষার কাজ চলছে। বিজ্ঞানীদের সবুজ সঙ্কেত পেলেই সরকার প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ শুরু করে দেবে। তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রতিষেধকের উৎপাদন কী ভাবে বাড়ানো হবে এবং তা কম সময়ে কী ভাবে প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে— সেই রূপরেখাও তৈরি করেছে রেখেছে সরকার।’’

Advertisement

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, তিনটির মধ্যে দু’টি প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে ভারতে। সেগুলি হল ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ও জাইডাস ক্যাডিলার ‘জাইকড ডি’। দু’টি প্রতিষেধক মানবদেহে প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হয়েছে। আগামী মাস থেকে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে। তৃতীয় ধাপে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকা। যার সঙ্গে উৎপাদনের প্রশ্নে হাত মিলিয়েছে ভারতীয় সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আশা, চলতি বছরের শেষেই ভারতে চলে আসবে প্রতিষেধক। দেশে অবশ্য সংক্রমণের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। টানা বারো দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে ভারত এক নম্বরে।

দেশে অ্যাক্টিভ রোগী

৬,৭৭,৪৪৪

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত

৬৩,৪৯০

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ

৫৩,৩২২

২৪ ঘণ্টায় মৃত

৯৪৪

সূত্র: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement