কখন পরীক্ষা করালে ঠিক হবে আর কখন হবে না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
দেশ জুড়ে যে গতিতে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে স্বাভাবিক ভাবেই জনমানসে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে ডেল্টার প্রভাবে যে ভাবে গোটা ভারত জুড়ে সংক্রমণ বাড়াবা়ড়ি পর্যায়ে পৌঁছেছিল, এ বারও ঠিক একই রকম ছবি দেখা যেতে পারে। এমন সময় দাঁড়িয়ে কখন পরীক্ষা করালে ঠিক হবে আর কখন হবে না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। এই বিষয়টি নিয়েই এ বার নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) প্রকাশিত নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড রোগীর সংস্পর্শে এলেই অবশ্যই পরীক্ষা করানো জরুরি। কিন্তু কোন রোগী ঝুঁকিপূর্ণ, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। নয়া নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছে, মধুমেহ, হাইপারটেনশন, ফুসফুস-কিডনির রোগ আছে এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হলে, তাঁকেই ঝূঁকিপূর্ণ বলে ধরে নেওয়া হবে।
এ ছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা খুসখুস, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা গেলেই কোভিড পরীক্ষা করানো জরুরি বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়। উড়ান এবং জলপথে বিদেশযাত্রার সময়েও যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।
অন্য দিকে, কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষার দরকার নেই? কেন্দ্র জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ নয়, এমন কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে পরীক্ষা করাতে হবে না। পরীক্ষার দরকার নেই যদি না শরীরে কোনও উপসর্গ থাকে। এ ছাড়াও যে সব রোগী নিয়ম মেনে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁদেরও পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। অন্তঃরাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রেও দরকার নেই কোভিড পরীক্ষার।