Coronavirus

শারীরিক সমস্যা থাকলে কোভ্যাক্সিনে নিষেধ ভারত বায়োটেকের, হতে পারে অ্যালার্জিও

করোনার টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে তৃতীয় দিনের হিসাবে ৩.৮ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি

যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম ও যাঁদের অন্য একাধিক ওষুধ খেতে হয়, তাঁদের কোভ্যাক্সিন নিতে নিধেষ করল ভারত বায়োটেক। এই নিয়ে বিস্তারিত একটি তথ্যপত্র বা ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করেছে সংস্থা।

Advertisement

করোনার টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে তৃতীয় দিনের হিসাবে ৩.৮ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫৮০ জনের শরীরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২ জনের মৃত্যুও হয়েছে, তবে সেই মৃত্যু করোনার টিকার কারণে নয়, সোমবার এই তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। হয়তো সেই কারণেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগে থাকতে সতর্ক করে রাখল কোভ্যাক্সিন।

সরকার আগে জানিয়েছিল, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরাও টিকা নিতে নিতে পারে। তবে তাঁদের শরীরে টিকার প্রভাব কম পড়বে। প্রধানত, যে সব ক্যান্সার আক্রান্ত কেমোথেরাপিতে রয়েছেন, যাঁদের এইচআইভি পজিটিভ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে করোনার টিকার প্রয়োগ ক্ষমতা অত্যাধিক রকমের কম থাকতে পারে।

Advertisement

ভারত বায়োটেক আরও জানিয়েছে, যাঁদের শরীরে রক্তপাত জনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও যেন কোভিড টিকা এড়িয়ে যান। যাঁরা অত্যন্ত অসুস্থ, কিংবা কোনও অ্যালার্জির ইতিহাস রয়েছে যাঁদের, অথবা অন্তঃস্বত্তা মহিলাদেরও করোনা টিকা এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই তথ্যপত্র বা ফ্যাক্ট শিট কেবল মাত্র শরীরে বড়সড় কোনও প্রভাব পড়লে, তা মেনে চলার জন্য। তবে সারা ভারত থেকেই করোনার টিকা নেওয়ার পর একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওযা গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিকা নেওয়ার পরেও কোনও ব্যক্তির করোনা হতে পারে, তবে তা সামান্য প্রভাব ফেলবে বলে তাঁদের মনে হয়। ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, ‘‘সামান্য একটি ঝুঁকি থাকছে ভারত বায়োটেকের টিকায়, যেটিতে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।’’ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, গলা বা মুখ ফুলে যাওয়া, র‌্যাশ, ঝিমুনি ও দুর্বলতা।

সেই কারণেই টিকা নিতে যাওয়ার সময় টিকা অফিসার যিনি আছেন, তাঁকে বিস্তারিক শারীরিক অবস্থা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাঁরা নিয়মিত কোনও ওষুধ খাচ্ছেন কি না, সেই বিষয়েও বিস্তারিত বলতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement