প্রতীকী ছবি।
দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময়ে ওঠা একটি অভিযোগ নিয়ে এফআইআর করে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিল দিল্লির আদালত। ওই অভিযোগ নিয়ে এগোতে রাজি হয়নি দিল্লি পুলিশ। অন্য দিকে ওই গোষ্ঠী সংঘর্ষ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন এক অভিযুক্ত।
যমুনা বিহারের বাসিন্দা সালিম অভিযোগ করেছিলেন, গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময়ে তাঁর প্রতিবেশী সুভাষ ত্যাগী ও অশোক ত্যাগী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তাঁর বাড়িতেও হামলা করেন। তাঁর আর এক প্রতিবেশী নাসিরকেও গুলি করেন সুভাষ ও অশোক। পুলিশ আদালতে জানায়, সালিম নিজেই সংঘর্ষের মামলায় জড়িত। নিজেকে বাঁচাতে তিনি পাল্টা মিথ্যে অভিযোগ করছেন। সংঘর্ষের মামলায় জামিন পেয়েছেন সালিম।
কিন্তু সালিমের তরফে জমা দেওয়া ভিডিয়ো ফুটেজ ও অন্য সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ফাহাদউদ্দিন জানিয়েছেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে বোঝা যাচ্ছে এই অভিযোগের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রমাণ আদালতে গ্রহণযোগ্য। নিরপেক্ষ ভাবে এই অভিযোগের তদন্ত করার জন্য জাফরাবাদ থানার ওসি-কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তে নজরদারি করবেন উত্তর পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার।
অন্য দিকে জাফরাবাদেই সংঘর্ষের সময়ে বিনোদ কুমার নামে এক ব্যক্তির হত্যার মামলায় অভিযুক্ত আলিম সইফিকে জামিন দিয়েছে দিল্লির দায়রা আদালত। বিচারক অমিতাভ রাওয়ত জানিয়েছেন, শুধু সহ-অভিযুক্ত আরশাদের দাবি ছিল যে সইফি সংঘর্ষে জড়িত। অন্য কেউ তাঁকে শনাক্ত করেননি।