ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অতিমারির কারণে লকডাউন চলছিল গোটা দেশে। সে সময় ১৯ বছরের এক রোগিণীকে কেরলের কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সেই ধর্ষণের দায়ে অ্যাম্বুল্যান্সের চালককে যাবজ্জীবন সাজা দিল কেরলের পথনমথিট্টার জেলা ও দায়রা আদালত।
অতিমারির সময় অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র খুলেছিল সরকার। সে রকমই এক চিকিৎসা কেন্দ্রে নির্যাতিতাকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভি নুফল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড কেন্দ্রের পরিবর্তে নির্জন একটি জায়গায় অ্যাম্বুল্যান্সটি নিয়ে গিয়েছিলেন চালক। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি। এর পরে তরুণীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন নুফল। তরুণী নিজের মোবাইলে সেই ঘটনা রেকর্ড করেন। এর পরে কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে কর্মীদের নির্যাতনের কথা জানান তরুণী। তাঁরা থানায় অভিযোগ করেন। তার পরেই তরুণীর বয়ান সংগ্রহ করে পুলিশ। শেষে গ্রেফতার হন নুফল।
তদন্তকারী অফিসার আর বিনু জানিয়েছেন, মামলাটি বেশ জটিল ছিল। কারণ, ঘটনার সময় লকডাউন ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে ঝক্কি পোয়াতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সকলে মিলে প্রমাণ জোগাড় করে চার্জশিট ফাইল করেছিলাম।’’ ৫৫ জনের সাক্ষ্য নিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার নুফলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শুক্রবার তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। সেই সঙ্গে এক লক্ষ আট হাজার টাকা জরিমানাও করেছে তাঁকে। সেই টাকা নির্যাতিতাকে দেওয়া হবে।