গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
দ্বিতীয় দফার ৪৭টি চিনা অ্যাপ ব্যান করা নিয়েও কড়া প্রতিবাদ করল বেজিং। নয়াদিল্লিকে রীতিমতো হুমকির সুরে নয়াদিল্লিতে চিনা দূতাবাস বলেছে, 'ভুল শুধরে নিন’। পাশাপাশি উইচ্যাট-সহ চিনা অ্যাপগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং। তবে একই সঙ্গে চিনা ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে চলার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, শুধু এই ৫৯টি এবং ৪৭টি নয়, সব মিলিয়ে মন্ত্রকের আতসকাচের নীচে রয়েছে মোট ২৫০টি চিনা অ্যাপ। ফলে আরও অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে ক্ষতিকারক— এই অভিযোগে গত ২৯ জুন টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয় ভারত সরকার। তখনও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং। এর পর গত কাল সোমবার আরও ৪৭টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এই অ্যাপগুলি মূলত আগের নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির ক্লোন হিসেবে কাজ করছিল। সেগুলির মধ্যে রয়েছে টিকটক লাইট, হেলো লাইট, শেয়ারইট লাইট, বিগো লাইভ লাইট, ভিএফওয়াই লাইটের মতো অ্যাপ। দ্বিতীয় দফায় এই সব অ্যাপ নিষিদ্ধ করায় ফের চটেছে বেজিং।
সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের পক্ষে জি রং বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘’২৯ জুন ভারত সরকার উইচ্যাট-সহ চিনভিত্তিক ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এ্র ফলে চিনের সংস্থাগুলির ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেজিং নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে এবং যে ভুল করেছে, তা শুধরে নেওয়ার কথা বলেছে।’’
আরও পড়ুন: ভারতের রাফাল বনাম চিনা জে-২০, যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে কে?
আরও পড়ুন: ‘ঠোক দো...’, এই ভাষায় শাসিয়ে ভক্ত লেলানোর হুমকি দিলেন বিগ-বি!
এর পাশাপাশি নিজেদের দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতিও বার্তা দিয়েছেন জি রং। বলেছেন, ‘‘আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, চিন সরকার প্রতিনিয়ত দেশের ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করার কথা বলেছে। তবে ভারতেরও উচিত চিন-সহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইনি অধিকার সুরক্ষিত করা।’’ জোর করে বিষয়টিতে নয়াদিল্লি হস্তক্ষেপ করেছে বলেও মন্তব্য করেছে চিনা দূতাবাস। পাশাপাশি রং বলেছেন, ‘‘চিনা সংস্থাগুলির প্রতি এই ধরনের অর্থনৈতিক বিরুদ্ধাচরণ আদপে ভারতেরই ক্ষতি করবে।’’