কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজারের সীমা পেরিয়েছে। ফাইল চিত্র।
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে ভারতে। তার পাশাপাশি একটু একটু করে বাড়ছে করোনারোগীদের মৃত্যুর হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আটটি রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তও হয়েছেন প্রায় আট হাজার ভারতীয়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে জানা যাচ্ছে, করোনারোগীদের অনেকেরই নমুনা পরীক্ষা করে ওমিক্রন উপরূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার দৌলতে ২০২১ সালে করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ উঠেছিল দেশে।
বুধবার সকাল ৮টায় দেওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যে জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৩০ জন। ২২৩ দিনে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা এটি। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৭৪৯৬। তবে তখন সংক্রমণ ছিল পড়তির দিকে। এখন তা উর্ধ্বমুখী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজারের সীমা পেরিয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ২১৫ জন। মঙ্গলবার দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫৬৭৬ জন। পরের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
বুধবারের হিসাবে দেখা যাচ্ছে দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রাজ্য কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে কেরলে। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে সংখ্যা ৯৮০। এক দিনে ৯১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। পশ্চিমবঙ্গে গত এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। এ ছাড়া দিল্লি, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশে ২ জন করে এবং গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তামিল নাড়ু, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের ১ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর।
তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির এই পর্বে চিন্তায় ফেলেছে ওমিক্রন। করোনার এই উপরূপের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সংগৃহীত ২৩৪জন রোগীর নমুনায়। এর মধ্যে দিল্লি এবং গুজরাতও রয়েছে। ২০২১-এ এই ওমিক্রনের জন্যই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছিল দেশ।