Coronavirus

মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যায় ফের রেকর্ড দেশে, রেকর্ড সুস্থ হওয়ার সংখ্যাতেও

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন প্রায় আট হাজার জন। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হলেন ১১ হাজারেরও বেশি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ১১:০৬
Share:

দেশে মৃত্যুর সংখ্যাও পাঁচ হাজার ছুঁই ছুঁই। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বৃদ্ধির হারে ফের রেকর্ড। শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার। সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন প্রায় আট হাজার জন। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হলেন ১১ হাজারেরও বেশি। যা সুস্থ হওয়ার নিরিখেও এখনও অবধি রেকর্ড। কোভিডের জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি মারা গিয়ে, দেশে মৃত্যুর সংখ্যাও পাঁচ হাজার ছুঁই ছুঁই।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৯৬৪ জন। এক দিনে এত সংখ্যক লোক এর আগে সংক্রমিত হননি। এই বৃদ্ধির জেরে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন এক লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৬৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাত— এই চারটি রাজ্যে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৬৫ জনের। যা এক দিনে মৃত্যুর নিরিখে রেকর্ড। এই নিয়ে দেশে কোভিডের কারণে মোট মৃত্যু হল চার হাজার ৯৭১ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে দু’হাজার ৯৮ জনের। ৯৮০ জন মারা গিয়েছেন গুজরাতে, দিল্লিতে ৩৯৮ জন। মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩৩০, পশ্চিমবঙ্গে ৩০২। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (২০১), রাজস্থান (১৮৪) ও তামিলনাড়ু (১৫৪)।

Advertisement

আরও পড়ুন: আর্থিক বৃদ্ধি গত ১১ বছরে সর্বনিম্ন

কেরলে শুরু হয়েছিল দেশের করোনা সংক্রমণ। তার পরই শীর্ষে চলে আসে মহারাষ্ট্র। হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে সেখানে। এখনও সেই ধারা অব্যাহত। দেশের মধ্যে সংক্রমণের হারে শীর্ষে সেই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায়, দু’হাজার ৬৮২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। এ নিয়ে সে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৬২ হাজার ২২৮ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্তের হিসাবে রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। সেখানে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২৪৬ জন। এর পরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮৬ জন। গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৩৪ জন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে রাজস্থান (৮,৩৬৫), মধ্যপ্রদেশ (৭,৬৪৫), উত্তরপ্রদেশ (৭,২৮৪), পশ্চিমবঙ্গ (৪,৮১৩), অন্ধ্রপ্রদেশ (৩,৪৩৬), বিহার (৩,৩৭৬), কর্নাটক (২,৭৮১), তেলঙ্গানা (২,৪২৫), পঞ্জাব (২,১৯৭), জম্মু-কাশ্মীর (২,১৬৪), ওড়িশা (১,৭২৩), হরিয়ানা (১,৭২১) ও কেরল (১,১৫০)।

পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতার আশপাশ ছাড়িয়ে দূরের বিভিন্ন জেলাতেও বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৮১৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৭ জন। এখনও অবধি রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০২ জনের। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বুলেটিনের হিসেবে, করোনাভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা ২৩০। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকে লকডাউন কতটা? আজ বলতে পারে কেন্দ্র

করোনাভাইরাসে যেমন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমন সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটাও নেহাত কম না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এটাই যেন আশার আলো। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও অবধি সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৩৭০ জন। তার মধ্যে ১১ হাজার ২৬৪ জন সুস্থ হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এই প্রথমবারের জন্য ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ছাপিয়ে গেল আক্রান্ত বৃদ্ধির সংখ্যাকে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement