Coronavirus update

ফের অনেকটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও হাজারের বেশি

প্রায় ৯০ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৩ লক্ষ ৭০ হাজার ১২৮ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৪৫
Share:

দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ লক্ষ ৭০ হাজার ১২৮ জন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দৈনিক নতুন সংক্রমণ ৮৫-৯০ হাজারের গণ্ডিতে ঘোরাফেরার পর ৭৫ হাজারে নেমেছিল মঙ্গলবার। আজ তা ফের পৌঁছল ৮৯ হাজারে। উদ্বেগ বাড়িয়ে দৈনিক মৃত্যু আজ ফের ১১০০ ছাড়াল। সঙ্গে সংক্রমণ হারও গতকালের তুলনায় একটু বাড়ল।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৯ হাজার ৭০৬ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২৬ হাজার ৬৪ ও ৭৫ হাজার ৮০৯ জন। প্রায় এক মাস ধরেই দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বের অন্য দেশগুলির তুলনায় এগিয়ে থাকছে ভারত।

প্রায় ৯০ হাজার বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৪৩ লক্ষ ৭০ হাজার ১২৮ জন। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত ৬৩ লক্ষ ২৬ হাজার ও তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্ত ৪১ লক্ষ ৬২ হাজার।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

মোট মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে মোট মৃত্যু অনেক কম। পাশাপাশি ওই দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হারও অনেকটাই কম। যদিও বিগত কয়েক দিন ধরেই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১১৫ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট ৭৩ হাজার ৮৯০ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ২৭ হাজার ৪০৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট মৃত ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার ৬৮০। দেশের রাজধানীতে সংখ্যাটা ৪ হাজার ৬১৮। অন্ধ্রপ্রদেশে (৪,৫৬০), উত্তরপ্রদেশ (৪,০৪৭), পশ্চিমবঙ্গ (৩,৬৭৭) ও গুজরাত (৩,১৩৩) মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে। পঞ্জাব (১,৯৯০), মধ্যপ্রদেশ (১,৬০৯), রাজস্থানে (১,১৬৪) মোট মৃত্যু বেড়ে চলেছে। এর পর তালিকায় রয়েছে তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ়, গোয়া-র মতো রাজ্যগুলি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যার মধ্যেই আশার আলো কোভিড রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠা। দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৩৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৪৪ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের ৭৭.৭৭ শতাংশও সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৯৪ জন।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণ হার ৭.৭৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পরীক্ষা হয়েছে ১১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৪৯ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু— দু’টি তালিকাতেই শুরু থেকে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট আক্রান্ত ৯ লক্ষ ৪৩ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত আজ পাঁচ লক্ষ ১৭ হাজার। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত চার লক্ষ ৭৪ হাজার। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে মোট সংক্রমিত চার লক্ষ ১২ হাজার। উত্তরপ্রদেশেও সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৭৮ হাজারে পৌঁছেছে। দিল্লিতে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার। পশ্চিমবঙ্গে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার। বিহারে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ও তেলঙ্গানাতে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার। অসম ও ওড়িশাতে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৩১ হাজার ও ১ লক্ষ ৩০ হাজার। গুজরাতেও মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ছাড়িয়েছে।

রাজস্থানে মোট আক্রান্তের সংখ্যাটা ৯৪ হাজার পেরিয়েছে। কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৯২ হাজার। হরিয়ানায় ৮১ ও মধ্যপ্রদেশে ৭৭ হাজার। পঞ্জাবে ৬৭ হাজার, ঝাড়খণ্ডে ৫৫ হাজার, ছত্তীসগঢ়ে ৫০ হাজার, জম্মু ও কাশ্মীরে মোট আক্রান্ত ৪৫ হাজার। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ত্রিপুরা। মণিপুর, হিমাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১০ হাজারের কম।

পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণ বেশ কিছু দিন ধরে তিন হাজারের নীচে ছিল। গত দু’দিন তা আবার তিন হাজার পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩ হাজার ৯১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯৫৬ জন। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। করোনার কবলে এ রাজ্যে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৭ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement