দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক—শৌভিক দেবনাথ।
প্রায় দু’মাস পর ফের ১৩ হাজারের ঘরে পৌঁছে গেল দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন। বুধবার তা ছাড়িয়েছিলে ৯ হাজারে গণ্ডি। রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরেই দেশের দৈনিক আক্রান্ত বাড়ল গত দু’দিনে। সেই সঙ্গে দেশে বাড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাও।
দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬১ জন। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। দিল্লিতে ২৬৩ জন এবং মহারাষ্ট্রে ২৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপে। ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখে ক্রমান্বয়ে রয়েছে গুজরাত (৯৭), রাজস্থান (৬৯), কেরল (৬৫), তেলঙ্গানা (৬২), তামিলনাড়ু (৪৫), কর্নাটক (৩৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (১৬), হরিয়ানা (১২) এবং পশ্চিমবঙ্গ (১১)। যদিও ৯৬১ জনের মধ্যে ৩২০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ডিসেম্বর মাস ধরেই মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা থাকছিল এক হাজারের কম। গত কয়েক দিনে তা বেড়ে বৃহস্পতিবার পৌঁছে গিয়েছে ৩ হাজার ৯০০তে। সংক্রমণ ঠেকাতে মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কেরলে অবশ্য আড়াই থেকে তিন হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে রাজধানীতে ১০০ নীচে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। এ সপ্তাহের শুরুতে তা ১০০ ছাড়িয়েছিল। গ ত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৩ জন। পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক সংক্রমণ ফের এক হাজার ছাড়িয়েছে। গুজরাতে তা বেড়ে হয়েছে ৫৪৮, কর্নাটকে ৫৬৬, তামিলনাড়ুতে ৭৩৯। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ফের উস্কে দিচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা।
আক্রান্তের সংখ্যা বাডতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়েছে ৫ হাজার ৪০০। যার জেরে ফের ৮০ হাজার ছাড়াল সক্রিয় রোগী। দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৮২ হাজার ৪০২ জন।