গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৫ হাজার ২৩১ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশে কমছে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। গত এক সপ্তাহ ধরে তা ৫০ হাজারের কম রয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও ১ হাজার থেকে কমে গত কয়েক দিন ৫০০-র আশপাশে। সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হওয়া ছাড়িয়ে গিয়েছে ৯১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৫ হাজার ২৩১ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৮২ লক্ষ ২৯ হাজার ৩১৩ জন। ওই সময়কালে আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৮ হাজার ও ১০ হাজার। আমেরিকাতে এখনও অবধি আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ লক্ষ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্ত ৫৫ লক্ষ ৪৫ হাজার জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
দেশে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৭৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৯৮ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের সাড়ে ৯১ শতাংশেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৮৫ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা এখন ৫ লক্ষ ৬১ হাজার।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। প্রায় ২ সপ্তাহ পর দেশের সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮০০ জনের।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
লক্ষাধিক প্রাণ কাড়লেও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলির তুলনায় ভারতে করোনার জেরে মৃত্যুহার অনেক কম। অক্টোবরের শুরু থেকে দৈনিক মৃত্যু কমতে কমতে ৫০০-তে নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯৬ জন মারা গিয়েছেন। এ নিয়ে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬০৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। তার মধ্যে ৪৪ হাজার জন মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রেই। তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে মোট মৃত্যু ১১ হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশে, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে তা ৭ হাজারের আশেপাশে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
মৃত্যুর মতো সংক্রমণের নিরিখেও দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ১৬ লক্ষ ৮৩ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। তামিলনাড়ুতে ৭ লক্ষ। প্রায় ৫ লক্ষ আক্রান্ত নিয়ে দেশের পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ। তার পরই রয়েছে কেরল। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্ত ৪ লক্ষের কাছাকাছি। এর পর রয়েছে ওড়িশা, তেলঙ্গানা, বিহার, এবং অসম। রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাবে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষের কম।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৫১। যদিও এর মধ্যে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে মোট ৬ হাজার ৯০০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)