ছবি: রয়টার্স।
ভারতে লকডাউনের জেরে অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিকের দুরবস্থা দেখে অত্যন্ত ‘হতাশ’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার মিশেল বেশেলেট। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এমন কোনও ব্যবস্থা যেন না-নেওয়া হয় যা ‘অসাম্য এবং বিপদকে আরও বাড়িয়ে তোলে।’ বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে এখনও মুখ খোলেনি কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে যে, হাইকমিশনারের মন্তব্য সম্পর্কে কেন্দ্র অবহিত। ভিন্ রাজ্যে কাজের জন্য এসে আটকে যাওয়া এক জন শ্রমিকও যাতে অভুক্ত না থাকেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি হাত মিলিয়ে তার ব্যবস্থা করছে। লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেই প্রত্যেকে যে যার মতো ফিরে যেতে পারবেন। ইতিমধ্যে কিছু শ্রমিক ফিরেও গিয়েছেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিভাগের প্রধানের কথায়, “ভারতে জনসংখ্যার আয়তন এবং জনঘনত্বকে হিসাবে রেখে এটা বলাই যায় যে, সে দেশে লকডাউন প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বিপুল চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা আশা করতে চাই যে, ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে, কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় যে ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন, তা যেন বৈষম্যমূলক না-হয়। তাতে যেন অসাম্য এবং বিপদ আরও না-বাড়ে, সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।’’ এর পরই ভারতের পরিযায়ী শ্রমিকদের সাম্প্রতিক সঙ্কট প্রসঙ্গে বেশেলেট জানান, গোটা বিষয়টি দেখে তিনি অত্যন্ত হতাশ।
আরও পড়ুন: মেয়াদ বাড়বে লকডাউনের?
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)