পুলিশ-পরিযায়ী শ্রমিকদের সংঘর্ষ।
ঘরে ফেরার দাবিতে এ বার পুলিশের উপরে পরিযায়ী শ্রমিকদের হামলার ঘটনা ঘটল কেরলেও। ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের রাখার জন্য শিবিরের ব্যবস্থা করেছে কেরলের সরকার। শ্রমিকদের মানসিক ভাবে স্থির রাখার জন্য নানা রকম ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু প্রথমে শ্রমিক স্পেশ্যাল এবং তার পরে দিল্লি থেকে এসি ট্রেন চালুর ঘোষণা হয়ে গেলেও তাঁরা কেন এখনও ঘরে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন না, এই ক্ষোভে শিবিরের বাইরে অশান্ত হয়ে উঠেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার কিছু মানুষও। পুলিশ অবশ্য আবেদন করেই শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের শান্ত করেছে।
কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমেই পেট্টা থানা এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় শ্রমিকদের একটি শিবিরে গোলমালের খবর পেয়ে গিয়েছিল পুলিশ। শ্রমিকদের ক্ষোভ, কেরল থেকে ইতিমধ্যেই বিশেষ ট্রেন বিভিন্ন রাজ্যে যেতে শুরু করেছে। নানা জেলা থেকে শ্রমিকেরা ট্রেন ধরলেও তিরুঅনন্তপুরমের ওই শিবিরের কেউ এখনও ফেরার সুযোগ পাননি। শ্রমিকদের ভিড়ের মধ্যে থেকে উড়ে আসা ঢিলে আহত হন পুলিশের স্টেশন হাউস অফিসার ও আরও এক পুলিশকর্মী। তার পরে আরও বাহিনী নিয়ে এক এসিপি গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে নিরস্ত করেন। জানা যায়, ওই শ্রমিকদের মধ্যে এক জনের বাবার মৃত্যুসংবাদ এসেছিল। অন্য এক জনের বাড়িতে বাচ্চা অসুস্থ হওয়ারও খবর ছিল।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিরুঅনন্তপুরমের পুলিশ কমিশনার বলরাম কুমার পরিযায়ী শ্রমিকদের ভারপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের ডেকে বৈঠক করেছেন। পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, সব শ্রমিককে একসঙ্গে ট্রেন ধরানো সম্ভব নয়। কাদের জন্য আপৎকালীন পরিস্থিতি রয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করে ঠিকাদারদের বলা হয়েছে প্রশাসনকে জানাতে।