ছবি: পিটিআই।
করোনা-পরবর্তী জগতে অফিসের চেহারা অনেকটাই বদলে যাবে বলে মত বহু বিশেষজ্ঞের। আজ সে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। নয়া ব্যবসায়িক মডেলের সন্ধানে ভারতের তরুণ প্রজন্ম বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করেন তিনি। মোদীর মতে, করোনা-পরবর্তী জগতে বিশ্বে পণ্য সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে ভারত।
এ দিন পেশাদারি সংযোগের ওয়েবসাইট ‘লিঙ্কডইন’-এ নিজের বক্তব্য জানান মোদী। পরে তা টুইটও করেন। ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এই শতাব্দীর তৃতীয় দশক শুরু হয়েছে নানা ধাক্কার মধ্য দিয়ে। করোনাভাইরাসের ফলে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমে মানুষ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতে থাকার বার্তা দিতে আমাদের অভিনেতারা নতুন উপায়ে কয়েকটি ভিডিয়ো তৈরি করেছেন। গায়কেরা করেছেন অনলাইন অনুষ্ঠান। দাবা খেলোয়াড়েরা ডিজিটাল মাধ্যমে দাবা খেলে এই যুদ্ধে সাহায্য করেছেন।’’
মোদীর মতে, পেশাদার জীবনের চেহারা বদলে দিয়েছে করোনা-পরিস্থিতি। এখন বাড়িই অফিস। বৈঠকের নতুন জায়গা ইন্টারনেট। অফিসের ফাঁকে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজব আপাতত ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমিও এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছি। এখন মন্ত্রিসভার সহকর্মী, আধিকারিক বা রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বেশির ভাগ বৈঠকই করি ভিডিয়োয়।’’ সকলকে নিয়ে চলার ক্ষমতা, সুযোগ ও গোটা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে— এমনই ব্যবসায়িক ও জীবনযাত্রার মডেলের এখন খোঁজ করা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। যে মডেলে সঙ্কটকালেও অফিস ও ব্যবসা-বাণিজ্য চলতে পারে। এতে ভারতের উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে আশাবাদী মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘অফিসে বা কারখানায় বসে কাজ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কাজের ঠিকঠাক মিশেল ঘটাতে পারলে ভারত বিশ্বে পণ্য সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। এই সুযোগকে ব্যবহার করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: লকডাউন উঠলে কী কী হবে রেল স্টেশনে, চলছে মহড়া
মোদীর মতে, এমন মডেল প্রয়োজন যেখানে গরিব-প্রান্তিক মানুষের প্রয়োজন ও পরিবেশের কথা মাথায় রাখা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লগ্নির ক্ষেত্রে ভারতকে চিনের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে মোদী সরকার। করোনা-সঙ্কটের ফলে বহুজাতিক সংস্থাগুলি চিনের পাশাপাশি ভারতেও কারখানা বা বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়তে পারে বলে মনে করছেন সরকারের কর্তারা। তাই বিশ্বে পণ্য সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে তুলে ধরার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাঁদর-বাহিনীর দখলে রাজধানী, রাস্তায় ময়ূর
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)