উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের শিখর ছুঁয়েছিল যে উত্তরপ্রদেশ, সেখানেই আজ কোভিডমুক্ত জেলা হিসেবে গোরক্ষপুরের নাম ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের নিরলস পরিশ্রমেই এই সাফল্য এসেছে।’’
আজ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন আদিত্যনাথ। সেখানে সমস্ত জেলায় টিকাকরণের গতি বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছেন তিনি। দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ট্রেন, বাস, উড়ানে অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষদের কোভিড পরীক্ষার উপরেও জোর দিতে বলেন। আদিত্যনাথ আজ উত্তরপ্রদেশে টিকাকরণের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, রাজ্যে ১৩ কোটি ২৮ লক্ষেরও বেশি করোনা প্রতিষেধক ডোজ় দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ দু’টি ডোজ়ই পেয়ে গিয়েছেন।
তবে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের দাবি, তাঁরা পর্যাপ্ত টিকা পাননি এখনও। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বৈঠকে টিকাকরণে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলিকে টিকাদানের গতি বাড়ানোর কথা বলেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের উপরে জোর দেন তিনি। তার জবাবে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বঘেল জানান, ছত্তীসগঢ়ে ৩৮,৮২,৬৪৬ জন এখনও দ্বিতীয় টিকা পাননি। অথচ রাজ্যে এখন মাত্র ৩১,৯৩,৭৩৫ ডোজ় রয়েছে। ফলে দ্রুত টিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। শুধু টিকা নয় চিঠিতে সিরিঞ্জ সঙ্কটের কথাও উল্লেখ করেছেন বঘেল। অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে, গত ২৪ ঘণ্টায় লাদাখে মাত্র একটি করোনা সংক্রমণের ঘটনা জানা গিয়েছে।
গত ৩২ দিনের মতো আজও দেশে দৈনিক আক্রান্তের হার ২ শতাংশের কম ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে ১০,৯২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ পজ়িটিভিটির হার ১.৩৫%। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১২,৫০৯ জন। এখন দেশে মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১,৪৬,৯৫০।