করোনাভাইরাস নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন আক্রান্তরা। যাঁরা হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন, তাঁদেরও মেয়াদ শেষ হবে সাত দিনের মধ্যেই। ফলে নতুন করে সংক্রমণ না হলে এক সপ্তাহ পরেই করোনাভাইরাস মুক্ত হতে পারে তেলঙ্গানা। রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের পর রবিবার এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তবে একই সঙ্গে রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকতেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মুক্ত হলেই সাত দিন পর লকডাউন তুলে নেওয়া হবে, এমন নয়। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে ১৪ এপ্রিল পর্যন্তই তেলঙ্গানাতেও চলবে লকডাউন।
তেলঙ্গানায় এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে ৭০ জনের। মৃত্যু হয়েছে এক জনের। এ ছাড়াও প্রায় ২৬ হাজার মানুষকে হোম কোয়রান্টিন বা গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রবিবার জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। তার পর সাংবাদিকদের জানান, ‘‘রবিবার তিন জন নতুন আক্রান্ত মিলিয়ে রাজ্যে মোট সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে ৭০ জনের। তাঁদের মধ্যে এক জনকে ছাড়া হয়েছে। ১১ জনের চূড়ান্ত টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আজ সোমবারই তাঁদের ছাড়া হবে।’’
তেলঙ্গানায় বিদেশ থেকে আগত এবং তাঁদের পরিজন, ভিন রাজ্যে থেকে ফেরা শ্রমিক-সহ মোট ২৫ হাজার ৯৩৭ জনকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়রান্টিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই পরিসংখ্যান দিয়ে কেসিআর জানান, ‘‘এঁদের মধ্যে সোমবার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৮৯৯ জনের। বাকিদেরও ধাপে ধাপে সাত দিনের মধ্যেই কোয়রান্টিনের মেয়াদ শেষ হবে।’’
আরও পড়ুন: জীবাণুনাশক স্প্রে করা হল এ ভাবে? ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো, বিতর্কে যোগী সরকার
আরও পড়ুন: ‘পারলে আমাকে নিয়ে যাও’, শেষ ফোনে বলেছিল হেঁটে বাড়ি ফিরতে চাওয়া রণবীর
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল। কেসিআর দাবি করেন, ‘‘ওই ব্যক্তি আগে থেকেই সংক্রামিত ছিলেন। হাসপাতালেই আনা হয়েছিল মৃত অবস্থায় পরে টেস্টে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই বৃদ্ধ ছাড়া আক্রান্তরা সবাই ভাল আছেন। আশা করা যায়, আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাঁরাও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। তবে এর মধ্যে নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হলে ৭ এপ্রিলের মধ্যে করোনার প্রভাবমুক্ত হবে তেলঙ্গানা রাজ্য।’’ তবে নতুন আক্রান্তের সম্ভাবনাও কম বলে মনে করেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্রী সমিতির সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। তাঁর যুক্তি, আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ। রাজ্যের সীমানাও সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে আর কেউ রাজ্যে আসার সম্ভাবনা না থাকায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম।