প্রতীকী ছবি।
মুম্বইয়ের পর এ বার করোনাভাইরাসের এক্সই রূপের সংক্রমণের ‘খবর’ এল গুজরাতে থেকে। দুই ব্যক্তির দেহে কোভিড-১৯-এর ওই অতিসংক্রামক রূপের সন্ধান মিলেছে বলে সে রাজ্যের সরকারের একটি সূত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। তবে আক্রান্তদের বিদেশযাত্রার ইতিহাস বা শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। এখনও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও এ বিষয়ে কিছু ঘোষণাও করা হয়নি।
চলতি সপ্তাহেই মুম্বইয়ে বিদেশফেরত এক মহিলার দেহে কোভিড-১৯-এর নয়া এক্সই রূপের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি করেছিলেন বৃহন্মুম্বই পুর কর্তৃপক্ষ এবং মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সেই দাবিতে স্বীকৃতি দেয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জানিয়েছিল, এক্সই রূপে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা আক্রান্তের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানো হয়। এর পর জিন বিশেষজ্ঞরা বিশদে নমুনাটি বিশ্লেষণ করেন। তবে তাঁদের অনুমান যে এই রূপটির জিনের গঠন এক্সই রূপের জিনের গঠন থেকে আলাদা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) সম্প্রতি জানিয়েছিল, করোনাভাইরাসের এই এক্সই রূপটি ওমিক্রনের বিএ.২ উপপ্রজাতির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংক্রমণ ক্ষমতা ১০ শতাংশ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত বেশি হতে পারে। হু-এর বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, ওমিক্রন রূপের বিএ.১ এবং বিএ.২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই পরিব্যক্ত এক্সই রূপটির উৎপত্তি।