প্রতীকী ছবি।
অফিসে না-গিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে? বিদেশ থেকে ফেরার পরে বা সংক্রমণ রুখতে ১৪ দিন স্বেচ্ছায় ঘর-বন্দি থাকতে হচ্ছে? রবিবারের ১৪ ঘণ্টা জনতা-কার্ফুতে ঘর-বন্দি থাকার পরে যদি করোনা-জুজুতে ১৪ দিন পরিবার-শুদ্ধ ঘর-বন্দি থাকতে হয়, তা হলে কী করবেন ভেবে চুল ছিঁড়ছেন?
সঙ্ঘ এই ১৪ দিনে দৈনন্দিন অভ্যাস বদলানোর দাওয়াই দিচ্ছে। আরএসএস-এর দাওয়াই মেনে অবশ্য বাড়ির কর্তাকে সকলের জন্য প্রাতরাশ তৈরি করতে হবে। তাও স্ত্রীর নির্দেশ মেনে। বাড়ির ছেলেমেয়েদের ঘরের কাজকর্ম সামলাতে হবে। কারণ করোনা-সংক্রমণ রুখতে বাড়ির পরিচারক বা পরিচারিকাকে সবেতন ছুটি দিয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টার জনতা-কার্ফুর ঘোষণা করেছেন। তাতে সমর্থন জানিয়ে আরএসএস নিজেদের শাখাগুলিকে রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার আগে বা রাত সাড়ে ৯টার পরে প্রার্থনা, অনুশীলন বা আলোচনার অনুষ্ঠান করার নির্দেশ দিয়েছে। আরএসএস-অনুগামীদের করোনার জন্য ১৪ দিন স্বেচ্ছা বন্দি থাকার সময়ে ১৪ দিনের ‘ক্র্যাশ কোর্স’-এর রুটিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
রুটিন অনুযায়ী, ঘর-বন্দি থাকার সময়ে সবাইকে ভোর পাঁচটায় উঠে পড়তে হবে। সকাল ছ’টার মধ্যে প্রাতঃকৃত্য সেরে গোটা পরিবার ধ্যানে বসবে। ৪৫ মিনিট ধ্যানের পরে ৪৫ মিনিট যোগাসনের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। এরপরেই বাড়ির কর্তাদের স্ত্রীর তদারকিতে প্রাতরাশ তৈরি করতে হবে। ৯টার মধ্যে প্রাতরাশ সেরে এক ঘণ্টা গল্পগুজব, হাসিঠাট্টা।
আরও পড়ুন: আমেরিকা থেকে ফিরে কোয়রান্টিন উপেক্ষা করে পার্টি, দলীয় বৈঠকে তেলঙ্গানার বিধায়ক!
সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে পড়াশোনা, অফিসের কাজ। দুপুরে বাড়ির সবাইকে রান্নায় হাত লাগাতে হবে। খাওয়াদাওয়ার পরে দাদু-দিদাদের জন্য ‘নির্দেশ’, তাঁরা ছোটদের পারিবারিক ইতিহাস, আগের তিন-চার প্রজন্মের গল্প শোনাবেন। পরিবারের ওঠানামা, সাফল্য-ব্যর্থতার কাহিনি শোনাতে হবে। বিকেলে বাড়ির সবাই মিলে দাবা, ক্যারম, তাস খেলতে পারেন। তবে খেলার সময়ে যত পারবেন হাসবেন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন আরএসএস-প্রচারকেরা। রাতের খাবার তৈরির সময়েও গিন্নিকে সাহায্য করার জন্য কর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নৈশভোজ রাত সাড়ে ৮টার মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে।