ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি সত্ত্বেও জুলাইতে দৈনিক ১ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব হতে পারে। আগামী মাসে টিকাকরণের জন্য দেশের সমস্ত রাজ্য় এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১২ কোটি টিকার ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে বলে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ জুলাইতে দেশে প্রতিদিন টিকার ৪০ লক্ষ ডোজ দেওয়া যেতে পারে, যা দৈনিক ১ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রার অনেক কম। এই পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় সরকারের টিকাকরণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কেন্দ্রের টিকাকরণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার সেই মামলায় হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ১৩৫ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে। ওই ১৩৫ কোটি ডোজের মধ্যে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি, বায়ো ই সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন এবং জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ ভ্যাকসিনও ধরা হয়েছে। যদিও বায়ো ই এবং জাইডাসের টিকায় এখনও অনুমোদিত হয়নি, তা সেই প্রক্রিয়ার স্তরে রয়েছে। ফলে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের আগে চলতি বছরের মধ্য়েই দেশের প্রায় ১০৮ কোটিকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করলেও তা কী ভাবে পূরণ করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব দাবি করেছিলেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি বা অগস্টের প্রথমে দেশে দৈনিক ১ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া, গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি ছিল, বছরের শেষে ২১৬ কোটিরও বেশি ডোজ পাওয়া যাবে। তবে বায়ো ই বা ডাইডাসের টিকায় অনুমোদন প্রক্রিয়ার স্তরে থাকায় সে লক্ষ্যও আদৌ পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।