বুধবার দেখা যাবে এমনই ছবি।
করোনা সংক্রমণ ও তা মোকাবিলা করতে গিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আগামিকাল, বুধবার সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও পঞ্জাব— এই সাত রাজ্যে রয়েছে দেশের মোট কোভিড আক্রান্তের ৬৫ শতাংশ। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদেরও আলোচনায় থাকার কথা।
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার সাত মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে এখনও সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণের কোনও লক্ষণ নেই। মঙ্গলবার দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৩ জন মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সংক্রমণের বর্তমান অবস্থা এবং মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে যত মানুষ সংক্রমিত, তার ৬৫.৫ শতাংশই রয়েছে এই সাতটি রাজ্যে। মৃত্যুর পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ। সারা দেশে মৃতদের মধ্যে এই সাত রাজ্যেই ৭৭ শতাংশ। তবে পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ বাদ দিয়ে বাকি পাঁচ রাজ্যে কোভিড চিকিৎসায় সুস্থতার হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। মোদীর এই বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়েও মত বিনিময় হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ লক্ষাধিক, দৈনিক সংক্রমণ নামল ৭৫ হাজারে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে নেতৃত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। চিকিৎসা পরিকাঠামো ও সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: ‘কৃষক বিরোধী’ মমতা: চিঠি লিখে, টুইট করে তোপ ধনখড়ের
করোনা আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিও পাঠানো হয়েছিল। একাধিক রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও সরেজমিন ঘুরে দেখে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিয়েছে ওই প্রতিনিধি দল। এ দিনের বিবৃতিতে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘‘রাজ্যগুলির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। বেড়েছে কোভিড হাসপাতালের সংখ্যাও। কন্টেনমেন্ট, নজরদারি, টেস্টিং-সহ যাবতীয় পরিস্থিতির মোকাবিলায় পরামর্শ দিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যগুলিতে পাঠিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্র।’’ সেই সব রিপোর্ট ও অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখার পর এ বার প্রধানমন্ত্রী ফের বৈঠকে বসছেন। এর আগেও একাধিক বার কখনও সব রাজ্য, কখনও বা কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।