ছবি এএফপি।
আন্তর্জাতিক সমীক্ষা গত রাতেই জানিয়েছিল, ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১১.৯২ লক্ষ পেরিয়েছে। আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও প্রায় একই পরিসংখ্যান দিল। যদিও দিনভর সংক্রমণ বৃদ্ধির হিসেব করে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা আজ রাতেই জানাল, ভারতে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১২ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ থেকে ১২ লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগল ৩ দিন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭,৭২৪, মৃতের সংখ্যা ৬৪৮। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকদের উদ্ধৃত করে একটি মার্কিন দৈনিক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতের অবস্থা আরও খারাপ হতে চলেছে। আগামী বছরের শেষেই বিশ্বের সব চেয়ে বেশি করোনা-কবলিত দেশ হবে ভারত। মোট আক্রান্তের সংখ্যায় আগামী কয়েক সপ্তাহেই এই দেশ পেরিয়ে যাবে ব্রাজিলকে। গবেষকেরা এ-ও বলেছেন, ভারতের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।
দেশে অ্যাক্টিভ রোগী ৪,১১,১৩৩ জন। কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক ২৮,৪৭২ জন কোভিড রোগী সুস্থ হয়েছেন। সুস্থের মোট সংখ্যা সাড়ে ৭ লক্ষ পেরিয়েছে। অ্যাক্টিভ রোগী ও সুস্থের সংখ্যার ব্যবধান ৩,৪১,৯১৬। দেশে আরোগ্যের হার বেড়ে হয়েছে ৬৩.১৩%। কেন্দ্রের বক্তব্য, ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরোগ্যের হার এর চেয়ে বেশি। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ নেই।
কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১.৪৭ কোটি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে সোমবার। দিল্লি এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, পরীক্ষার প্রথম দফার তথ্য পেতে তিন মাস লাগবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজ়েনেকার সম্ভাব্য টিকার ১০০ কোটি ডোজ় তৈরির বরাত পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। আজ এই সংস্থার সিইও আদর পুনাওয়ালার সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র এলে টিকাকরণে ওড়িশা যাতে অগ্রাধিকার পায়, পুনাওয়ালাকে সেই অনুরোধ করেন নবীন।