নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। টিকাকরণের গতি অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যাশিত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। মিলছে টিকার প্রয়োজনীয় জোগান না থাকার অভিযোগও। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর ওই পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্দেশ দিয়েছেন কোনও অবস্থাতেই টিকাকরণের গত স্লথ হতে দেওয়া চলবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘‘ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি।’’ তিনি জানান বর্তমানে দেশের ৩০টি জেলার সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশ। ৩৫টি জেলায় সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের সামান্য বেশি।
বৃহস্পতিবার স্থাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রথম টিকা পেয়ে গিয়েছেন। অন্তত ১৮ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। মোট ৭২ কোটিরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের কাজে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্যত্র না সরানোর বিষয়টি কেন্দ্র নিশ্চিত করতে চায় বলে সরকারি সূত্রের খবর।
কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিও চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রকে। পরবর্তী পর্যায়ে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে কয়েকটি পূর্বাভাস মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ (এনআইডিএম)-এর বিশেষজ্ঞ দল অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর, অ্যাম্বুল্যান্স, ডাক্তার, চিকিৎসাকর্মী-সহ পুরো পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার রূপরেখা তৈরি করেছে। শিশুদের চিকিৎসায় বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিতে বলেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।