রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েন।
রাজ্যসভায় করোনা মোকাবিলা নিয়ে আলোচনায় আজ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সরাসরি অভিযোগ করেন, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ব্যর্থ। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষতার সঙ্গে এই অতিমারির মোকাবিলা করছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। কোনও ভাবেই সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে ডেরেকের প্রশ্ন, “ধারাবাহিক ভাবে যদি দেখা যায়, বোঝা যাবে কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আপনারা কি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন?” এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। ডেরেক বলেন, ‘‘আমরা আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করেছি। অতিমারি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যা হল, সুসময়ে কেন্দ্র সব কৃতিত্ব নেয়। কিন্তু সঙ্কটকালে আপনারা মুখ্যমন্ত্রীদের সমালোচনা শুরু করেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থামিয়ে দেন। রাজ্যের ভাল কাজগুলি থেকে শিক্ষা নিন।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব বার বার অভিযোগ করেন, অপরিকল্পিত লকডাউনে করোনা পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ বেড়েছে। ডেরেকের বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে কখনও পূর্ণাঙ্গ লকডাউন হয়নি। কমবেশি করে লকডাউন করেছি। ফুলের দোকান-সহ অনেক কিছুই খোলা ছিল। আপনারা কি অসংগঠিত ক্ষেত্রে এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন? বাংলায় যতটা পেরেছি করেছি।’’ কেন্দ্রকে তাঁর পরামর্শ, মমতা প্রশাসনের থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যবিমা, বিনামূল্যে বাড়ি গিয়ে কোভিড পরীক্ষার কাজ শুরু করুক মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত নিতিন গডকড়ী, টুইট করে জানালেন নিজেই
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় চার্জশিট পুলিশের, ১৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে নেই উমর, শরজিলের নাম
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে মোদীর ময়ূরকে খাওয়ানোর ভিড়িয়ো নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘‘পূর্বাঞ্চলের ছোটখাটো চেহারার নেত্রী, তিনি দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি রাস্তায় চকের দাগ দিয়ে আমজনতাকে বোঝাতে চেয়েছেন শারীরিক দূরত্বের এখন প্রয়োজন রয়েছে। এটি অতিমারির একটি ছবি। অপর ছবিটি হল, একটি বাগান এবং একটি ময়ূরের!”