রাস্তায় মোতায়েন পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
লকডাউন ঘোষণা সত্ত্বেও জমায়েত আটকানো যাচ্ছে না। তার জেরে এ বার রাজ্য জুড়ে কার্ফু ঘোষণা করল পঞ্জাব সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র কার্ফু কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সমস্ত জরুরি পরিষেবাকে কার্ফুর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
পঞ্জাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেখানেই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পঞ্জাব সরকারের এক মুখপাত্র।
ওই মুখপাত্র জানান, কার্ফু চলাকালীন কারোকে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরতে হলে, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আগে অনুমতি নিতে হবে। তার পরেই নির্ধারিত সময়ের জন্য অনুমতি মিলতে পারে। অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত জেলায় সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জন সমাগম নেই স্বর্ণমন্দিরে। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: লকডাউনে নিয়ম ভাঙলে জেল, করোনা নিয়ে এ বার আরও কড়া সরকার
রাজ্য সরকারের নির্দেশ সামনে আসার পরই একাধিক জায়গায় তা কার্যকর করতে রাস্তায় নেমে পড়ে পুলিশ। দোকানপাট বন্ধ করে মানুষকে বাড়ি ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিছু জায়গায় আবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পাড়ার দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: লকডাউনে কী কী খোলা, কী কী বন্ধ? দেখে নিন এক নজরে
করোনার প্রকোপ রুখতে রবিবারই দেশ জুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালিত হয়। তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়াও মেলে। তার পরই একাধিক রাজ্য লকডাউনের পদক্ষেপ ঘোষণা করে। পঞ্জাব সরকারও সেই মতো রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করে। কিন্তু তার পরেও এ দিন সকাল থেকে অমৃতসর, মোগা, লুধিয়ানা-সহ একাধিক জায়গায় বাজার-দোকানে মানুষের ভিড় উপচে পড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইক নিয়ে রাস্তায় বেরোয় পুলিশ। অবিলম্বে সকলকে বাড়ি ফিরে যেতে নির্দেশ নেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও ভিড় কমানো যায়নি। তাতেই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।