ছবি রয়টার্স।
দেশে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে আগামী মাসেই। তার আগে চার প্রান্তের চারটি রাজ্যকে টিকাকরণ পর্বের মহড়ার জন্য বেছে নিল কেন্দ্র।
পঞ্জাব, গুজরাত, অসম ও অন্ধ্রপ্রদেশের দু’টি করে জেলাকে বেছে নিয়ে আগামী ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর চলবে এই ‘ড্রাই রান’। টিকাকরণের প্রস্তুতি কতটা, মূলত তা দেখাই এর লক্ষ্য। টিকা মজুতের কোল্ড স্টোরেজ পরীক্ষা, সেখান থেকে টিকা নিয়ে যাওয়া, চিকিৎসাকর্মী ও টিকার গ্রহীতাদের টিকাকরণ কেন্দ্রে পৌঁছনো, সেখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়িয়ে পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে ভিড় সামলানো, ‘কো-উইন’ অ্যাপে টিকাকরণের তথ্য আপলোড করা, টিকা দেওয়া শেষের পরে বৈঠক করা, সব কিছুরই মহড়া হবে। এমনকি টিকাকরণ চলাকালীন কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, ‘মক ড্রিল’ হবে তারও।
অর্থাৎ টিকা দেওয়ার দিনের মতোই সব কিছু হবে। শুধু টিকা দেওয়া হবে না। জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক ও গোষ্ঠী স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল, গ্রামাঞ্চল, শহরাঞ্চল— প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় এমন বিশেষ কয়েকটি ভাগ করে নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির দিকটি খতিয়ে দেখা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টিকাকরণ প্রক্রিয়ার ধাপগুলির পরীক্ষা হয়ে যাবে এই মহড়ায়। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কার্যকর করার পাশাপশি কোথায় কোথায় বাধা আসছে, তা চিহ্নিত করাও এর লক্ষ্য। সে ক্ষেত্রে কোথায় পরিবর্তন বা উন্নতি দরকার, পুরোদস্তুর টিকাকরণ শুরুর আগে সেটিও স্পষ্ট হয়ে যাবে। বিভিন্ন স্তরে টিকাকরণ সামলাবেন যাঁরা, তাঁদেরও হাতেকলমে অভিজ্ঞতা হবে। ব্লক থেকে জেলা পর্যায়ে গোটা প্রক্রিয়ার নজরদারি ও পর্যালোচনা, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে তথ্য সরবরাহের বিষয়টিও মহড়ার মধ্যে থাকছে।
কী ভাবে মহড়া হবে, তার পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিই করবে। তবে কী কী পরীক্ষা করতে হবে, সেই সংক্রান্ত একটি ‘চেকলিস্ট’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, ‘‘দেশ জুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। টিকা যাঁরা দেবেন, বিভিন্ন রাজ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’’ বস্তুত, বিভিন্ন রাজ্যে কোল্ড চেন হ্যান্ডলার থেকে শুরু করে মেডিক্যাল অফিসার পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত সাত হাজারেরও বেশি পদাধিকারী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। ‘ট্রেনিং সেশন’ হয়েছে ২৩৬০টি।