দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের। ছবি: পিটিআই
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় দিল্লিতে নতুন ২০ হাজার বেডের ব্যবস্থা হবে। আর এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে রাজধানীর বন্ধ হোটেল ও ব্যাঙ্কোয়েট হল। করোনা মোকাবিলায় এমনই পরিকল্পনা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের।
দিল্লি সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই নয়া করোনা হাসপাতালগুলিতে ১১ হাজার বেড চালু করা হবে। এই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই ৪০টি হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির ব্যাঙ্কয়েটে অন্তত ৪,০০০ বেডে়র বন্দোবস্ত করা যাবে। বাকি বেডের ব্যবস্থা হবে বিভিন্ন নার্সিংহোমে। সেগুলি পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি নার্সিংহোমকে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ১০ থেকে ৪৯টি বেড সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিতে পারে দিল্লি সরকার। সেক্ষত্রে সহজেই ৫,০০০ অতিরিক্ত বেডের সংস্থান করা সম্ভব হবে।
দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এ দিন ৩৮ হাজার ছুঁয়েছে। গত দু’দিনে সেখানে প্রায় ২,০০০ করে নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার মতে, আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে জুলাই মাসের শেষপর্বে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন: শনিবার দেশে নতুন সংক্রমণ প্রায় ১২ হাজার, মোট মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়াল
আরও পড়ুন: ফের দাম বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের, এই নিয়ে পর পর আট দিন
এই পরিস্থিতিতে এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের সঙ্গে বৈঠক করেন কেজরীবাল। এ দিন সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠকে দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল, এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এসএমডিএ) আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আনলক-১ শুরুর পরে দিল্লিতে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অতিমারি করোনার সংক্রমণ। সুপ্রিম কোর্টও দিল্লি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে অমিত-কেজরী দ্বিতীয় দফার বৈঠকে এ দিন চিকিৎসা পরিকাঠামোর সম্প্রসারণের পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে কিছু বিধিনিষেধ বলবতের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।