রাজধানীতে সংক্রমণের হার কমেছে। ছবি: পিটিআই।
দেশে করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা টানা পাঁচ দিন পরে অবশেষে তিন লক্ষের নীচে নামল। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২,৫৫,৮৭৪ জন। দৈনিক সংক্রমণের হারও ২০.৭৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৫.৫২ শতাংশ। গত কাল থেকে সারা দেশে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৬১৪ জন।
ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণের পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের একটা বড় অংশই এই মুহূর্তে নিজেদের বাড়িতে বিচ্ছিন্নবাসে রয়েছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলিকে জেলা স্তর পর্যন্ত টেলি-কনসাল্টেশন পরিষেবা বাড়াতে এ দিন পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। এ দিন জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লি, লাদাখ এবং উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রের ই-সঞ্জীবনী টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থায় ২.৬ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
কোভিড রোগীর সংখ্যার নিরিখে রাজ্যগুলির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৫৫ হাজার মানুষের কোভিড ধরা পড়েছে। দিল্লিতে আজ সারা দিনে সংক্রমিত ৬০২৮ জন। মারা গিয়েছেন আরও ৩১ জন। তবে রাজধানীতে সংক্রমণের হার কমে হয়েছে ১০.৫৫ শতাংশ। শীঘ্রই কোভিড সংক্রান্ত কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল আশ্বাস দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে রাজধানীর ব্যবসায়ীদের একাংশ কেজরীর সঙ্গে দেখা করে সপ্তাহান্তের কার্ফু এবং দোকান খোলার ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় নীতি তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। কড়াকড়ি তোলার জন্য দিল্লি সরকারের তরফে এর আগে উপরাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হলেও তিনি তাতে সম্মতি দেননি। কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘প্রয়োজন পড়লে তবেই আমরা বিধিনিষেধ চাপাই। মানুষ যদিও সমস্যায় পড়েন। আমরা একসঙ্গে মিলে শীঘ্রই কড়াকড়ি তুলব।’’