প্রতীকী ছবি।
করোনার জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসিভিরের জোগান বাড়াতে তৎপর হল কেন্দ্র। প্রতিদিন দ্বিগুণ সংখ্যায় এই ইন্ট্রাভেনাস ইঞ্জেকশ তৈরির ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এখন ২০টি প্ল্যান্টে রোজ গড়ে দেড় লাখ করে এই ওষুধ তৈরি হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেই সংখ্যাটি বেড়ে হবে ৩ লাখ। রবিবার এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মন্দাভিয়া।
রেমডেসিভির একটি ইন্ট্রাভেনাস ইঞ্জেকশন। শিরায় প্রবাহিত রক্তের মধ্যে এই ওষুধ দেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, শুধুমাত্র এমন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেই রেমডেসিভির ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। বাড়িতে চিকিৎসাধীন, উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভিরের কোনও প্রয়োজন নেই।
কিন্তু দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বাড়তে শুরু করার পরেই দেশ জুড়ে রেমডেসিভির কেনার জন্য ওষুধের দোকানে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করছেন। সংক্রমিতের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে জোগানে ঘাটতি। যার সুযোগ নিয়ে তিন-চার গুণ দামে রেমডেসিভির বিক্রি হচ্ছে বলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে কেন্দ্রের কাছে। এমতাবস্থায় এই জীবনদায়ী ওষুধের জোগানে ঘাটতি মেটাতে এবং তার বাজারদাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বেশি ওষুধ প্রস্তুত করতে চলেছে কেন্দ্র।