প্রতীকী ছবি।
বিমানের গন্তব্য শহর এবং যে শহর থেকে সেটি ছাড়ছে, দুটোই যদি গ্রিন জোনের মধ্যে পড়ে, তখনই ঘরোয়া উড়ান চালু করা হবে। সম্প্রতি এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি। সঙ্গে তিনি এটাও বলেন, করোনা সংক্রমণের ভিত্তিতে ক্রমাগত জোনগুলো পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে এই মুহূর্তে আন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালু করা একটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও প্রতি দিন বাড়ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখনও গণপরিবহণ ব্যবস্থা চালু হয়নি। গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকেই ট্রেন ও বিমান পরিষেবা পুরোপুরি স্তব্ধ। সূত্রের খবর, ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন উঠলে বাণিজ্যিক বিমান কী ভাবে চালানো যায় তা নিয়ে বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র।
তবে পুরি জানিয়েছেন, বিমান পরিষেবা যদি চালু করা হয় তা ধাপে ধাপেই করা হবে। প্রথমে ঘরোয়া উড়ান, তার পর পরিস্থিতি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করা হবে।
সূত্রের খবর, বিমান পরিষেবা চালু হলে সামাজিক দূরত্ব কী ভাবে বজায় রাখা হবে তা নিয়েও বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার। তবে বিমান সংস্থাগুলোর তরফে জানানো হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিমানের একটা আসন অন্তর এক জন যাত্রীকে বসালে যাত্রীদের ভাড়ার বোঝা বেড়ে যাবে।
এক দিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পাশাপাশি যাত্রীদের উপর ভাড়ার বোঝা যাতে না বাড়ে সে বিষয়টি নিয়ে সরকার এবং বিমান সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুমোদন পেলেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা স্থির হবে।
আরও পড়ুন: ৯৯ দিনে দেশে করোনা আক্রান্ত ছাড়াল ৫০ হাজারের গণ্ডি, মৃত ১৭৮৩