দিল্লি বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। ছবি: পিটিআই।
করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে ভারতে। দেশের চারটি শহরে চিন ফেরত ১১ জনকে ইতিমধ্যেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। তাঁদের মধ্যে ৭ জন কেরলের, ২ জন মুম্বইয়ের, এক জন বেঙ্গালুরু এবং এক জন হায়দরাবাদের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান, এখনও পর্যন্ত কারও শরীরে এই ভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়েনি। তিনি আরও জানান, কেরলের সাত জনের রক্তের নমুনা পুণের আইসিএমআর-এনআইভি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস বিষয়ে দেখাশোনা করছেন কেরলের এক সরকারি আধিকারিক এবং চিকিত্সক অমর ফেটেল বলেন, “শুক্রবারই চিন থেকে সাত জন ফিরেছেন কেরলে। হালকা সর্দি-কাশি ছিল তাঁদের। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, চিন ফেরত যাত্রীদের নাম জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের সব বিমানবন্দরকে। কেরল প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ৮০ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৭৩ জনের শরীরে ভাইরাসের কোনও লক্ষণ ধরা পড়েনি। বাকি ৭ জনের হালকা সর্দি ও কাশি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বোরখা পরলে জরিমানা! কলেজের নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বন্দি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হোক, ভারতের উপর চাপ বাড়িয়ে বলল আমেরিকা
হালকা সর্দি-কাশি নিয়ে শুক্রবারই চিন থেকে মুম্বইয়ে আসেন দুই ব্যক্তি। বিমানবন্দর থেকেই তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে। আগাম ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই সব বিমানবন্দরে চিন ফেরত যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিংয়েরও। গত কয়েক দিনে প্রায় ২০ হাজার যাত্রী চিন ও হংকং থেকে দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দরেই তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর।
করোনাভাইরাসের আক্রমণে শনিবার পর্যন্ত চিনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১। চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের হিসেবে, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১,২৮৭।