রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সম্পর্কে সমাজমাধ্যমে আপত্তিজনক পোস্ট করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের (নয়ডা) জেলাশাসক। কংগ্রেস ওই আমলার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে। তবে জেলাশাসক মণীশ বর্মা একটি বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, তাঁর আইডি ব্যবহার করে কিছু সমাজবিরোধী সমাজমাধ্যমে রাহুল গান্ধী সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছে। বিষয়টি পুলিশের সাইবার সেলের সামনে রয়েছে এবং এফআইআর দায়ের করে এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিতর্কের সূত্রপাত এক্স হ্যান্ডলে কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতের একটি পোস্টে জেলাশাসকের মন্তব্যকে ঘিরে। সুপ্রিয়া ওই পোস্টে একজন ইতিহাসবিদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনকে তুলে ধরেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইতিহাস সৃষ্টি হয়, একে বদলানোও যায় না। নরেন্দ্র মোদী জানেন ইতিহাস কী ভাবে তাঁকে মনে রাখবে। তাই তিনি চিন্তিত।’’ ওই পোস্টে মতপ্রকাশ করতে গিয়ে জেলাশাসকের এক্স হ্যান্ডল থেকে হিন্দিতে লেখা হয়, ‘‘আপনার উচিত নিজের আর আপনার পাপ্পুর কথা ভাবা।’’ পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়। সুপ্রিয়া অবশ্য মুছে ফেলা সেই বক্তব্যের স্ক্রিনশট দিয়ে পাল্টা পোস্ট করেন। লেখেন, ‘‘উনি নয়ডার জেলাশাসক। গোটা জেলার দায়িত্ব তাঁর উপরে। তবে দেশের বিরোধী দলনেতা সম্পর্কে তাঁর ভাষা ও ভাবনা সকলে দেখুন।’’ কংগ্রেস মুখপাত্রের আরও মন্তব্য, ‘‘প্রশাসনে সঙ্ঘ পরিবারের লোকেরা ভিড় করে রয়েছেন। তাঁরা এখন সাংবিধানিক পদে বসে থাকা ব্যক্তিদের প্রতিও ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।’’
পরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সরব হন। রাহুল গান্ধী সম্পর্কে জেলাশাসকের এই ধরনের মন্তব্য দল মেনে নেবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি, জয়রামের অভিযোগ, এমন ঘটনা নতুন নয়। গত দশ বছর ধরেই ভারতের আমলাতন্ত্রে রাজনৈতিক ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কংগ্রেসের তরফে প্রতিবাদ আসতেই সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে নয়ডার জেলাশাসক মণীশ বর্মা দাবি করেছেন, সমাজবিরোধীরা তাঁর পরিচয় অপব্যবহার করে এই ধরনের ভুল পোস্ট করেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই সংক্রান্ত এফআইআরের কপিও নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন জেলাশাসক।