ছবি: সংগৃহীত।
‘মমতাবিহীন কালস্রোতে/বাংলার রাষ্ট্রসীমা হোতে/নির্বাসিতা তুমি/সুন্দরী শ্রীভূমি।’’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেট সফরে গিয়ে অবিভক্ত ভারতের এই অঞ্চলকে ‘শ্রীভূমি’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেটা ১৯১৯ সাল। বদরপুর ছুঁয়ে, করিমগঞ্জ স্টেশনে সভা করে সিলেটে গিয়ে পৌঁছেছিলেন তিনি। স্বাধীনতা-পূর্ব শ্রীহট্ট বা শ্রীভূমির মধ্যে শুধু করিমগঞ্জ জেলাই ভারতে রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কবিগুরুর পদার্পণের শতবর্ষের স্মারক হিসেবে করিমগঞ্জ জেলার নাম শ্রীভূমি করার দাবি উঠল। তবে রাজনীতির গন্ধ থাকায় এর বিরোধিতাও শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার করিমগঞ্জ স্টেশনে সভার আয়োজন করে ‘রবীন্দ্রনাথের করিমগঞ্জ পদার্পণের শতবর্ষ উদ্যাপন সমিতি’। হোজাইয়ের বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব ‘শ্রীভূমি’র প্রস্তাব দেন। আসাম ইন্ডিস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, আর এক বিজেপি নেতা মিশনরঞ্জন দাস জানান, এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দূষণ রোধে প্রচার বাড়ান: প্রিয়ঙ্কা
কিন্তু এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পেয়েই প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায় বলেন, ‘‘নাম বদলের এই প্রস্তাব রাজনৈতিক।’’ বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের এক কর্মকর্তা সঞ্জীব দেবলস্কর সরাসরিই বলেন, ‘‘মুসলিম নাম জড়িয়ে আছে বলেই বদলাতে চাইছেন ওঁরা। রবীন্দ্রনাথ মুখ্য নন।’’