গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিকে ভেঙে দিয়ে নতুন ভাবে তা সাজানোর দায়িত্ব আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বস্তিবাসীদের আশঙ্কাই শুধু নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা অভিযোগ করেছে, নিয়ম ভেঙে আদানিদের হাতে বরাত তুলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
ধারাভির হালকে ‘অস্বাস্থ্যকর ও শোচনীয়’ আখ্যা দিয়ে সরকারি জমিতে নতুন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে আদানি গোষ্ঠী। পরামর্শদাতা সংস্থা লিয়াসেস ফোরাস মনে করছে, আদানিরা হয়তো এই পরিকল্পনায় ৯৯ হাজার ৪৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করবে। কিন্তু তারা যে ব্যবসা পেতে পারে, তা ১ লক্ষ ৯৮ হাজার কোটি টাকার মতো।
২০০০ সালের আগে থেকে ধারাভিতে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের অধিকাংশই একতলার বাসিন্দা। নতুন পরিকল্পনায় তাঁরা ওই জায়গাতেই ঘর পাবেন। কিন্তু উপরের তলায় বসবাসকারীদের দশ কিলোমিটার দূরে ঘর দেওয়া হবে। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের।
এই প্রকল্পে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা সেকলিঙ্ক টেকনোলজিস কর্পোরেশনের অভিযোগ, ২০১৮-তে দরপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়ায়
তারা এগিয়ে থাকলেও মহারাষ্ট্র সরকার বেআইনি ভাবে তা বাতিল করে দেয়। আদানিদের সুবিধা করে দিতে ২০২২ সালে দরপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া নতুন ভাবে শুরু করে সরকার। বিষয়টি অবশ্য আদালতের বিচারাধীন।