Rajiv Tyagi

টিভি শো শেষ হতেই হার্ট অ্যাটাক, রাজীব ত্যাগীর মৃত্যুতে ফুঁসছেন কংগ্রেস কর্মীরা

বাড়ি থেকেই একটি হিন্দি চ্যানেলের টক শোতে যোগ দেন রাজীব। ওই বিতর্ক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২০ ২০:১১
Share:

কংগ্রেস নেতা রাজীব ত্যাগীর (বাঁ দিকে) মৃত্যুতে সম্বিত পাত্রর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীরা। —ফাইল চিত্র

একটি হিন্দি চ্যানেলের টক শো শেষ করার পরেই হার্ট অ্যাটাক এবং মৃত্যু। দলের মুখপাত্র রাজীব ত্যাগীর এমন মৃত্যুতে টিভি চ্যানেলের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল কংগ্রেস। দলের নেতা-কর্মীরা আবার ওই বিতর্কে যোগ দেওয়া বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন। অনেকে তাঁর গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন।

Advertisement

নিজের গাজিয়াবাদের বাসভবন থেকেই বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ একটি হিন্দি চ্যানেলের টক শোতে যোগ দেন রাজীব। ওই বিতর্ক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসককে ডাকা হয়। কিন্তু জ্ঞান না ফেরায় নিয়ে যাওয়া হয় গাজিয়াবাদেরই যশোদা হাসপাতালে। কিন্তু কিছুক্ষণ চিকিৎসার পরেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া, প্রিয়ঙ্কা, রাহুল গাঁধী ছাড়াও দলের অন্যান্য নেতানেত্রীরাও শোকবার্তা জানান।

সেই শোকের আবহ কিছুটা স্তিমিত হতেই পাল্টা একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কংগ্রেস। আহমেদ পটেলের মতো বর্ষীয়ান নেতারা বলেন, টিভি চ্যানেলগুলির উচিত এই ধরনের বিতর্কের আয়োজন না করা। তাঁদের বক্তব্য, এই সব বিতর্ক অনুষ্ঠান প্রাণঘাতী হওয়ার মতো পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

Advertisement

ওই বিতর্ক সভা ছিল বেঙ্গালুরুতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে। দলের নীচু তলার নেতা-কর্মীদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি নেতা তথা মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগ করেছেন রাজীব ত্যাগীর বিরুদ্ধে। দলের একাংশ আবার তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছেন।

যদিও বুধবার মৃত্যুর পর সম্বিত পাত্র নিজেও শোকবার্তায় বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বাসই করতে পারছি না যে আমার বন্ধু কংগ্রেস মুখপাত্র রাজীব ত্যাগী আর আমাদের মধ্যে নেই। আজই আমরা টিভি চ্যানেলে ৫টার সময় একসঙ্গে বিতর্কে যোগ দিয়েছি। জীবন খুব অনিশ্চিত। আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’’

অন্য দিকে যশোদা হাসাপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঙ্কটজনক অবস্থাতেই রাজীব ত্যাগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান পদম সিংহ পাল বলেন, ‘‘সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ওঁকে হাসপাতালে আনেন পরিবারের লোকজন। উনি সাড়া দিচ্ছিলেন না। হৃদস্পন্দনও ছিল না। আমরা ৪৫ মিনিট চিকিৎসা করার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করি।’’ তিনি আরও বলেন, পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, তাঁর কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের সমস্যা ছিল। তার জন্য নিয়মিত ওষুধও খেতেন। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীদের থামানো যায়নি। সম্বিত পাত্র এবং ওই টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে ফুঁসছেন তাঁরা।

https://www.anandabazar.com/topic/tmc

আরও পড়ুন: অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিজেপি, গহলৌতের সঙ্গে বৈঠক সচিনের

আরও পড়ুন: ‘কর ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতেই হবে’, নয়া প্ল্যাটফর্ম চালু করে বললেন মোদী

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement