রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
নিজেদের সীমিত শক্তি বুঝে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচনে হাতে গোনা কিছু আসনেই কংগ্রেস লড়তে চাইছে। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র স্বার্থে এই দুই রাজ্যেই তারা অধিকাংশ আসন সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ও আম আদমি পার্টি (আপ)-কে ছেড়ে দিতে তৈরি। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জোটে আগ্রহী নেতাদেরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে বসানো হবে। যাতে আসন সমঝোতা মসৃণ ভাবে হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার স্বার্থেও কি একই নীতি নেওয়া হবে!
দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধরির নেতৃত্বে কংগ্রেস অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেছিল। সেই আবগারি দুর্নীতিতে এখন মণীশ সিসৌদিয়া তিহাড় জেলে বন্দি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাওয়ার আগে অনিল চৌধরিকে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্র যাদবকে নতুন প্রদেশ সভাপতি করা হতে পারে।
বুধবারই রাহুল গান্ধী এ বিষয়ে দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের মতামত জেনে নিয়েছেন। কংগ্রেস নেতারা দলের শক্তি বাড়িয়ে বলার চেষ্টা করলেও রাহুল তাঁদের বলেছেন, বাস্তবে কংগ্রেস দিল্লিতে ৩% ভোটের পার্টি হিসেবে থেকে গিয়েছে।
একই ভাবে উত্তরপ্রদেশে আজ বৃজলাল খাবরীকে সরিয়ে বারাণসীর অজয় রাইকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অজয় উত্তরপ্রদেশে পাঁচ বার বিধায়ক হয়েছিলেন। ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়ে হেরে যান। কিন্তু বাহুবলী হিসেবে পরিচিত অজয় উচ্চবর্ণ ভূমিহার নেতা। এর আগে তিনি বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টিতে ছিলেন। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শুধুমাত্র সনিয়া গান্ধীর রায়বরেলী আসনে জিতেছিল। রাহুল গান্ধীকে অমেঠী আসনে হারতে হয়েছিল। কংগ্রেস এ বার সমাজবাদী পার্টির কাছে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র অমেঠী, রায়বরেলী, ইলাহাবাদ ও সুলতানপুর আসন চাইবে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে আজ দিল্লিতে মহিলা কংগ্রেসের সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে বলেছেন, মোদী এখন ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে কান্নাকাটি শুরু করেছেন। তিনি আকাশে চিল উড়লেও মহিষ উড়ছে বলেন। এতটাই বাগাড়ম্বর। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ দেখে ভয়পেয়ে গিয়েছেন। মোদীর উদ্দেশে খড়্গের বার্তা, ‘‘কান্নাকাটি করবেন না, লড়াই করুন।’’