মুকুল সাংমা। ফাইল চিত্র।
মেঘালয়ে ন্যাশনালিস্ট পিপলস পার্টি (এনপিপি)-র নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে তৃণমূলের নিশানা হল কংগ্রেস। রবিবার মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা কংগ্রেসের এমন পদক্ষপকে ‘মহা বেইমানি’ বলেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি সমর্থিত সরকারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে কংগ্রেস মেঘালয়বাসীর সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
রবিবার কলকাতায় পুরসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মেঘালয়ের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘‘মেঘালয়ে কংগ্রেস কী করল, সকলে দেখলেন।’’
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সরকারের সমর্থক দলগুলির মধ্যে অন্যতম বিজেপি। কনরাডের দল এনপিপি দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ‘নর্থ-ইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’ (নেডা)-এর শরিক। এই পরিস্থিতিতে শনিবার মেঘালয় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে কনরাড সরকারকে ‘ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাঁচ কংগ্রেস বিধায়কের পাশাপাশি ওই বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি আমপারিন লিংডোও হাজির ছিলেন। যদিও তাঁদের ওই সিদ্ধান্তের পিছনে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত নভেম্বরে মেঘালয়ের ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১২ জনকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। দলত্যাগী ১২ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের দাবিতে মেঘালয়ের স্পিকার মেটবা লিংডোর কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। তার ভিত্তিতে দলত্যাগী বিধায়কদের কাছে জবাব তলব করে নোটিস পাঠিয়েছেন স্পিকার।