Congress-BJP

অসাম্য ঢাকতেই বিকৃতিতে ভরসা মোদীর, সরব কংগ্রেস

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে কেরলে প্রচারে গিয়ে বলেছেন, মোদী সরকারের আমলে ধনী-গরিবের ফারাক একশো গুণ বেড়েছে। ব্রিটিশ রাজত্বের থেকেও বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:০৩
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সমীক্ষা জানান দিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশে ধনী-গরিবের অসাম্য বেড়েছে। দেশের সম্পদ মুষ্টিমেয় কয়েক জনের হাতে কুক্ষিগত হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, আমজনতার মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বুঝতে পেরেই নরেন্দ্র মোদী এখন অভিযোগ তুলছেন যে, কংগ্রেস দেশের সম্পদ, হিন্দু মহিলাদের গয়নাগাটি মুসলিমদের মধ্যে বিলি করে দিতে চায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, আসলে মোদী নিজেই দেশের সম্পদ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েক জন শিল্পপতির হাতে তুলে দিয়েছেন।

Advertisement

আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে কেরলে প্রচারে গিয়ে বলেছেন, মোদী সরকারের আমলে ধনী-গরিবের ফারাক একশো গুণ বেড়েছে। ব্রিটিশ রাজত্বের থেকেও বেশি। গত দশ বছরে নরেন্দ্র মোদী শুধু তাঁর দু’তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হয়ে কাজ করেছেন। দেশের সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ এই ধনী শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর, বন্দর, খনি, বিদ্যুৎ প্রকল্প, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জলের দরে বেচে দেওয়া হচ্ছে। মোদীর ঘনিষ্ঠ ২১ জন ধনী শিল্পপতির সম্পদের পরিমাণ দেশের ৭০ কোটি মানুষের সমান।

কংগ্রেসের দাবি, এই অসাম্যের সমাধান খুঁজতেই কংগ্রেস তার ইস্তাহারে আর্থসামাজিক জাতিগণনার কথা বলেছে। তাতে বোঝা যাবে, দেশের দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসররা আয়ের দিক থেকে কতখানি পিছিয়ে রয়েছেন। জনসংখ্যার ভাগ অনুযায়ী চাকরি, শিক্ষায় তাঁদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কি না, তা বোঝা যাবে। সেই অনুযায়ী তাঁদের অধিকার পাইয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ করা হবে। আজ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা কর্নাটকের প্রচারে গিয়ে বলেছেন, ‘‘আর্থসামাজিক জাতগণনায় অনগ্রসরদের সংখ্যা কত, দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসরদের কার কতখানি আয়, তা বোঝা যাবে। আমার দাদা সেটাই বলছেন। সেই অনুযায়ী নতুন নীতি তৈরি হবে।’’ কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী এই প্রতিশ্রুতিকেই বিকৃত করে অভিযোগ তুলছেন, কংগ্রেস হিন্দুদের সম্পত্তি মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চায়।

Advertisement

রবিবার থেকে মঙ্গলবার, টানা তিন দিন ধরে নরেন্দ্র মোদী ভোটের প্রচারে গিয়ে বলে চলেছেন, কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিলি করে দিতে চাইছে। সে জন্য কংগ্রেস দেশের সকলের সম্পদের সমীক্ষা করবে বলেছে। রাহুল গান্ধী জাতগণনাকে সমাজের এক্স-রে বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। মোদী রাহুলের নাম না করে বলেছেন, কংগ্রেসের নেতা লোকের ঘরে ঢুকে এক্স-রে করতে চাইছেন। আজ রাহুল তার উত্তরে মোদীর বক্তব্যের পাশে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে বলেছেন, ‘‘আমরা আদানিদের নয়, ভারতীয়দের সরকার গঠন করব। কংগ্রেসের ইস্তাহার সাম্যের জন্য। জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতিনিধিত্বের জন্য। বিদ্বেষ ও ভেদাভেদ ছড়ানো লোকেরা তা বুঝতে পারবে না।’’

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী কখনও বলছেন না, ২০১২ থেকে ২০২১-এর মধ্যে দেশে তৈরি সম্পদের ৪০ শতাংশ জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের হাতে গিয়েছে। জিএসটি থেকে আয়ের ৬৪ শতাংশ আসে গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তদের থেকে। গত দশ বছরে যে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে, তা একটি বা দু’টি সংস্থার হাতে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement