মমতা-প্রিয়াঙ্কার ফোন হ্যাক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। —ফাইল চিত্র।
আড়ি পাতা হয়েছিল তাঁর ফোনেও, একদিন আগে নিজে মুখে এ কথা জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাতে সায় দিল কংগ্রেসও। তাদের অভিযোগ, শুধু মমতা নন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বিরোধী শিবিরের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এবং এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেলের ফোনও হ্যাক করা হয়েছিল।
রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘হ্যাক হওয়া ফোনগুলিতে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে যখন বার্তা পাঠানো হয়েছিল, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ফোনেও সেই বার্তা এসেছিল।’’
এ দিন সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘ভেবে আশ্চর্য লাগছে যে হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইগেটের মাধ্যমে বিজেপি সরকার নাকি দেশের নাগরিক এবং রাজনীতিকদের উপর নজর রাখছিল! তাহলে কি ২০১৯-এর মে থেকেই স্পাইওয়্যারের ব্যাপারে জানত সরকার? যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন তাঁরা কি অপরাধী?’’ বিজেপিকে ‘জাসুস পার্টি’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের সাফাইও দাবি করেন তিনি।
অমিত মালব্যর টুইট।
আরও পড়ুন: সাড়ে পাঁচ বছরে ব্যবসা বেড়েছে ১৫০০০ শতাংশ! অমিত-পুত্র জয়ের বিরুদ্ধে তোপ কংগ্রেসের
আরও পড়ুন: লক্ষ্য কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরি, শীতে ফিদায়েঁ হামলা চালাতে পারে পাক জঙ্গিরা, সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের
যদিও কংগ্রেসের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘যে জিনিসের অস্তিত্বই নেই, তা কল্পনা করা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসের। ভিডিয়ো ক্যামেরার সবুজ আলো শরীরে পড়ায় রাহুল গাঁধীর প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে বলে একসময় দাবি করেছিল ওরা। জনমানসে ওঁদের নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা এমনই।’
ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ। গত সপ্তাহে ইজরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও-র বিরুদ্ধে বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট ভারতীয় নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ আনেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, ভিডিয়ো কলের সময় এঁদের ফোনে পেগেসাস নামের একটি স্পাইওয়্যার বসিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এনএসও। তার পর থেকেই গোটা ঘটনায় মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন বিরোধীরা।