সাংবাদিক বৈঠকে অজয় মাকেন।
সচিন পাইলটের প্রথম দাবি মেনে নিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। এআইসিসি-তে রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অবিনাশ পাণ্ডেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী আজ তাঁর বদলে দিল্লির কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মাকনকে রাজস্থানের দায়িত্বে বসিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে সচিন পাইলটের যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সমস্যার সমাধানে আহমেদ পটেলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছে। ওই কমিটিতেও মাকন থাকবেন। অন্য সদস্য এআইসিসি-তে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
রাজস্থানে গহলৌত-পাইলট বিবাদ প্রকাশ্যে আসার পরে বিভিন্ন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র নেতাদের ভূমিকা নতুন করে আতসকাচের তলায় চলে আসে। রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ তরুণ নেতাদের অভিযোগ ছিল, এই সব নেতারাই কংগ্রেসের তথাকথিত প্রবীণ বনাম নবীন বিবাদের মূলে। তাঁরাই দুই শিবিরের মধ্যে বিবাদ তৈরি করেন।
সচিনও বিদ্রোহে ইতি টেনে কংগ্রেসে ফেরার পরে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অবিনাশ পাণ্ডে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের ঠান্ডা যুদ্ধের কথা জানতেন। গহলৌত তাঁদের কোণঠাসা করছেন বলে অভিযোগ পেয়েও হাইকমান্ডকে জানাননি। নিজেও বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করেননি। গত দেড় বছর গহলৌত-পাইলট কথা বন্ধ থাকাকালীন পাণ্ডের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সেই অনুযায়ী আজ মাকনকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মাকন আগেও রাজস্থানের দায়িত্বে ছিলেন। সচিনের বিদ্রোহের পরে তাঁকে বারবার জয়পুরে পরিস্থিতি সামলাতে পাঠানো হয়েছে। মাকনকে রাজস্থানের ভার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আজ সচিন বলেন, “ওঁর নিয়োগে রাজস্থান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের আশা জোরদার হবে।”
আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ায় পাইলট ছাঁটাই
সচিনের সঙ্গে আলোচনার সময়ই ঠিক হয়েছিল, তাঁর অভিযোগের সমাধানে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি হবে। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, আহমেদ পটেলকে কমিটির মাথায় বসিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব ভারসাম্য রক্ষা করল। কারণ আহমেদ প্রবীণ শিবিরের নেতা। গহলৌতের তাঁকে নিয়ে সমস্যা হবে না। আবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিল্লিতে আসার পরে সচিন প্রথমে আহমেদের কাছেই যাবতীয় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আহমেদের সঙ্গে রাহুলের আস্থাভাজন বেণুগোপালও কমিটিতে থাকছেন। সচিনের সঙ্গে রফার সময়ও বেণুগোপাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।