প্রতীকী ছবি।
অভিযুক্তদের জামিন দেওয়াটাই নিয়ম। জেলে আটকে রাখাটা ব্যতিক্রম। এই নীতি কার্যকর করতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে পৃথক জামিন আইন তৈরির বিবেচনা করতে বললেও নরেন্দ্র মোদী সরকার এখনও নিজের অবস্থান খোলসা করেনি। কেন্দ্রের উপরে চাপ তৈরি করতে আজ কংগ্রেস জানাল, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজন মতো আইনি সংশোধন করা হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনের প্রক্রিয়া মসৃণ করতে ফৌজদারি কার্যবিধিতে রাজ্য স্তরে সংশোধন করা হবে।
অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া নিয়ে পুলিশ থেকে বিচারবিভাগের একাংশের আপত্তি নিয়ে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন শিবির থেকে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে। কারণ জেল বন্দিদের তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগই বিচারাধীন বন্দি। দোষী সাব্যস্ত না হলেও, এ সব অভিযুক্তেরা জামিন না পেয়ে জেলে আটকে রয়েছেন।
এই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট সোমবার বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের দিক থেকে নতুন আইন তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অকারণে গ্রেফতারি থেকে সংযত করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এ-ও বলে, যথেচ্ছ গ্রেফতারিআসলে ঔপনিবেশিক মনোভাবের প্রতীক। তাতে ‘পুলিশি রাষ্ট্র’-এর ধারণা তৈরি হয়।
আজ কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘আমরা গত সাত বছর ধরে দেখছি, তুচ্ছ কারণে আগ্রাসী পুলিশি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, ইউএপিএ-র মতোআইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের শাসক দল, যারা অনেক রাজ্যেও ক্ষমতায় রয়েছে, তারাই বারবার দোষ করছে। অনেক ক্ষেত্রেই তারা আইনি ব্যবস্থার জেনেশুনে অপব্যবহার করছে। দোষী সাব্যস্ত করার বদলে গ্রেফতারিকেই শাস্তি হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে। জামিন দিতে আদালতের দোনামনা মনোভাব সমস্যা বাড়াচ্ছে। ফলে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বাধার ফলে যে ভারতের চেহারা পুলিশি রাষ্ট্রের মতো হয়ে উঠছে, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অভিমত স্পষ্ট।’’
মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সংবিধান মেনে, আইন মাফিক আইনি সংশোধন করা হবে। বিধানসভায় সেই আইনি সংশোধনী বিল পাশ করানো হবে।’’