কংগ্রেস প্রভাবিত সংগঠনে প্রধানমন্ত্রীর জয়গান

কাছাড় হিন্দিভাষী ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানেও শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারের গুণগান। পরিষদটি এতদিন আগাগোড়া কংগ্রেসিদের দ্বারাই পরিচালিত হত। আজকের অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক সভাপতি সঞ্জীব রায় ও তাঁর স্ত্রী বন্দিতা ত্রিবেদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৩
Share:

কাছাড় হিন্দি-ভাষী ছাত্র পরিষদের এক অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করছেন জেলার পুলিশ সুপার রাজবীর সিংহ। বুধবার স্বপন রায়ের তোলা ছবি।

কাছাড় হিন্দিভাষী ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানেও শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারের গুণগান। পরিষদটি এতদিন আগাগোড়া কংগ্রেসিদের দ্বারাই পরিচালিত হত। আজকের অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক সভাপতি সঞ্জীব রায় ও তাঁর স্ত্রী বন্দিতা ত্রিবেদী। দু’জনেরই পরিচিত কংগ্রেসি হিসেবেই। সঞ্জীববাবু পুর নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। বন্দিতা দেবী কিছুদিন আগেও ছিলেন জেলা যুব কংগ্রেসের নির্বাচিত নেত্রী। এমনকী, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার সিংহও শহর কংগ্রেস কমিটির প্রচার সম্পাদক।

Advertisement

তাঁদের অনুষ্ঠানে আজ কেন্দ্রে-রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের প্রভাব স্পষ্ট ধরা পড়ে। গাঁধীভবনে সঞ্জীববাবুকে মঞ্চে বসিয়েই অবণীলাল কুর্মি বলেন, ‘‘সরকার পরিবর্তনের পর হিন্দির প্রচার-প্রসার ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দেশেই যাচ্ছেন, হিন্দিতে বক্তৃতা করছেন।’’ আর এক বক্তা দেবকীনন্দন জালান বলেন, ‘‘ভারত শ্রীরামের জন্মভূমি, শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি। তাই ভারতবাসী হিসেবে আমরা গর্বিত।’’ শিক্ষা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার জওহরলাল রাই এই অঞ্চলে হিন্দির প্রসারে ‘দিলীপকুমার’ ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। পরিষদ ত্রৈমাসিক হিন্দি পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। জওহরবাবু একে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘দিলীপকুমার এই কাজটি বহুদিন থেকে করে চলেছেন। তাঁর প্রেরণা ভারতী পত্রিকার মাধ্যমে। পত্রিকা এখন দৈনিক বেরোচ্ছে।’’ দিলীপকুমার হলেন সঙ্ঘ-সদস্য। সঙ্ঘ পরিবার নিয়ন্ত্রিত কেশব স্মারক সংস্কৃতি সুরভির সাধারণ সম্পাদক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার রাজবীর সিংহ। তিনি অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনান। কাছাড় হিন্দিভাষী ছাত্র পরিষদ ১৫ অগস্ট থেকে প্রতি রবিবার হিন্দি দিবস উপলক্ষে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান করে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের হয়ে পতুর্গালে গিয়ে খেলে আসার জন্য সম্বর্ধনা জানানো হয় শিলচরের যুবক আজমির হোসেনকে।

Advertisement

সঞ্জীববাবু অবশ্য তাঁর ভাষণে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টানেননি। তিনি তাঁর ছাত্র পরিষদকে অরাজনৈতিক সংগঠন বলেই দাবি করেন। হিন্দিভাষার বিকাশের জন্য অধিকতর কাজ করতে তিনি সকলের উদ্দেশে আহ্বান জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement