Rabindranath Tagore

রবির চিঠি নেহরুকে, টুইটারে শেয়ার করলেন শশী

রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে লেখা এই চিঠির ছবিই তুলে দিয়েছেন শশী। সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘১৯৩৬ সালে পণ্ডিত নেহরুর আত্মজীবনী পড়ে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের লেখা। অসামান্য, অনবদ্য।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৭
Share:

এই চিঠিই শেয়ার করেছেন শশী তারুর।

দাঁতভাঙা শব্দ প্রয়োগে প্রায়ই টুইটারে ঢেউ তোলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। শনিবার তাঁর একটি অন্য রকম পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেল। জওহরলাল নেহরুর আত্মজীবনী পড়ে তাঁকে প্রশংসাসূচক চিঠি লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ইংরেজিতে লেখা সেই চিঠির অংশই এ দিন পোস্ট করেছেন শশী।

Advertisement

১৯৩৪-এর জুন থেকে ১৯৩৫-এর ফেব্রুয়ারি, জেলে বসে নিজের আত্মজীবনী লিখেছিলেন নেহরু। ‘অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ (‘টুওয়ার্ডস ফ্রিডম’ নামেও পরিচিত বইটি) নামে সে বই ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয় লন্ডন থেকে। রবীন্দ্রনাথের লেখা চিঠির তারিখ, ৩১ মে ১৯৩৬।

রবীন্দ্রনাথ লিখছেন, ‘প্রিয় জওহরলাল, তোমার বইখানি সবেমাত্র শেষ করেছি। আমি অত্যন্ত অভিভূত এবং তোমার কীর্তিতে যারপরনাই গর্বিত। এ বইয়ের যাবতীয় খুঁটিনাটির মধ্য দিয়ে মানবিকতার এক গভীর স্রোত প্রবাহিত হয়ে চলেছে। তথ্যের ঘনঘটাকে ছাপিয়ে গিয়ে সেটা আমাদের এমন এক ব্যক্তির সমীপে নিয়ে যায়, যে তার কর্মের চেয়ে বড়, তার পারিপার্শ্বিকের চেয়ে খাঁটি। ভবদীয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’

Advertisement

রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে লেখা এই চিঠির ছবিই তুলে দিয়েছেন শশী। সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘১৯৩৬ সালে পণ্ডিত নেহরুর আত্মজীবনী পড়ে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের লেখা। অসামান্য, অনবদ্য।’’ সাত হাজারের বেশি ‘লাইক’ পেয়ে ১৩০০ রিটুইট হয়েছে এই পোস্ট। অনেকে মনে করছেন, প্রায়শই নানা বিষয়ে নেহরুর নিন্দামন্দ করতে দেখা যায় মোদী সরকারকে। ইতিহাসকে ফিরে দেখার পাশাপাশি শশীর পোস্ট সে দিক থেকেও বার্তাবহ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement